পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে ওই টাকা দাবি করেন তিনি।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে, যা দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার আদেশটি মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে।
একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে।
এর আগে সোমবার (১১ আগস্ট) নগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) আরিফ মঈনুদ্দিনের স্বাক্ষরে নিজাম উদ্দিনকে একটি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১০ আগস্ট দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা নগর কমিটির নজরে এসেছে। এতে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় এবং কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—সে বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান যুগ্ম সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়ার কথোপকথনে লিপ্ত আছেন নিজাম উদ্দিন।
এর আগে গত ৫ জুলাইও তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। এক নারী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে নিজাম উদ্দিন তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সদস্যসচিব ছিলেন তিনি। ওই অভিযোগের পর তার পদ স্থগিত করা হলেও পরে পুনর্বহাল করা হয়।