বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: চাঁদের যে অংশ অন্ধকারে রয়েছে বা অতি অল্প সময়ের জন্য সামান্য সূর্যালোক পেয়ে থাকে সেই অংশে বরফ থাকতে পারে। সেখানে জলের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে, এমন একটা ধারণা বিজ্ঞানীদের রয়েছে।
কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরু যা সূর্যালোক পেয়ে থাকে বা যে দিকটা বিশ্ববাসীর নজরে পড়ে সেই অংশের মাটিতে যে জলের অস্তিত্ব থাকতে পারে তা এতদিন ছিল অজানা। অবশেষে সেই অংশে জলের সন্ধান পাওয়া গেল। এই সন্ধান দিল সোফিয়া।
সোফিয়া হল এমন একটি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র যা একটি বোয়িং বিমানে আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। নাসা ও জার্মানির যৌথ উদ্যোগে ২০০৭ সালে পাঠানো বোয়িং বিমানের আদলে তৈরি এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি আকাশে অনেক উঁচুতে ভেসেই যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে।
সেই সোফিয়া চাঁদের ক্ল্যাভিয়াস ক্রেটার-এ এইচ২ও বা জলের অণুর সন্ধান পেয়েছে। প্রসঙ্গত এই ক্রেটারটি পৃথিবী থেকে স্পষ্ট দেখা যায়। চাঁদের অন্যতম সুবিশাল ক্রেটার এটি। সেখানেই এই জলের সন্ধান মিলেছে চাঁদের মাটিতে।
চাঁদের মাটির সঙ্গে মিশে আছে জলের অণু। বিজ্ঞানীরা বোঝাতে গিয়ে জানিয়েছেন এতদিন ধারণা ছিল চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকেই জলের সন্ধান মিললেও মিলতে পারে কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠ জুড়েই ছড়িয়ে আছে জলের সন্ধান।
চাঁদের মাটির প্রতি কিউবিক মিটারে ১২ আউন্স করে জল মাটিতে মিশে আছে। যা সাহারা মরুভূমিতে যে জল রয়েছে তার ১০০ গুণ কম। তাতে অবশ্য চাঁদে জলের অস্তিত্বের গুরুত্ব কমে না। চাঁদের মাটিতে কিন্তু অবশেষে জল পাওয়া গেল।
আগে চাঁদের মাটিতে হাইড্রোজেন পাওয়া গেলেও জল থাকা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রক্সিল-এর অস্তিত্ব আলাদা করে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে চাঁদের মাটিতেই জল বলে নয়, চাঁদ জুড়েই মাটিতে জল রয়েছে এটা প্রমাণ করলেন বিজ্ঞানীরা।
যা চাঁদ সম্বন্ধে এতদিনের ধারণা বদলে দিল। চাঁদ সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে ২০২৪ সালে নাসা চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে। চাঁদে প্রথম কোনও মহিলার পা পড়বে এবার।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.