মানুষের চন্দ্র জয়ের ৫০ বছর পর চলতি দশকে চাঁদে আবারও মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন দেখছে নাসা। এ কারণে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা বেশ পরিকল্পনা নিয়ে আর্টেমিস চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনা করেছে। ২০২৬ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও সেই অভিযানে বিলম্ব ঘোষণা করেছে নাসা।
নাসার বর্তমান প্রশাসক বিল নেলসন আর্টেমিস কর্মসূচি দেরি করার কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের অধীনে নীতি পরিবর্তন হতে পারে বলে দুটি পরিকল্পিত অভিযানকে পিছিয়ে দিয়েছে নাসা। নাসা আর্টেমিস অভিযান ২০২৬ সালের বদলে ২০২৭ সালে পরিচালনা করতে পারে বলে জানিয়েছে।
স্পেসএক্সের স্টারশিপ ব্যবহার করে মহাকাশচারীরা চাঁদে অবতরণের অভিযানে যেতে পারে বলে নাসা জানিয়েছে। নেলসন বলেন, ‘স্পেসএক্স ল্যান্ডার প্রস্তুত বলে ধরে নিয়েছি আমরা। ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয় আর্টেমিস অভিযান চালু করার পরিকল্পনা করছি। এই অভিযানটি ২০৩০ সালের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার জন্য চীনা সরকারের লক্ষ্যের আগেই বাস্তবায়িত হবে।
অভিযান দেরি করার কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রথম আর্টেমিস অভিযানে লকহিড মার্টিনের ওরিয়ন ক্রু ক্যাপসুল ও হিট শিল্ডে ২০২২ সালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃ প্রবেশের সময় ফাটল দেখা যায়। তখন নভোযানটিতে আংশিকভাবে ক্ষয় দেখা যায়। আর্টেমিস প্রোগ্রামটি ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় নাসা গ্রহণ করেছিল।
১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে অ্যাপোলো মিশনের মাধ্যমে চন্দ্রে শুধু মানুষ পাঠানো হয়। আর্টেমিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে নাসা চন্দ্রে ঘাঁটি তৈরির কাজ করছে। ভবিষ্যতে মঙ্গলে নভোচারীদের পাঠানোর জন্য আর্টেমিস অভিযানকে নতুন সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আর্টেমিস চন্দ্র অভিযানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে নাসা বিশাল স্পেস লঞ্চ সিস্টেম উৎক্ষেপণ করেছে। আর্টেমিসের পরবর্তী অভিযানের জন্য আরও উন্নত খেয়াযান ব্যবহারের চেষ্টা করছে নাসা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।