পৃথিবীতে যাপিত জীবনের স্মৃতি সংরক্ষণের একটা তাগিদ দেখা যায় মানুষের মধ্যে। স্মৃতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে টাইম ক্যাপসুল নির্মাণের একটা ব্যাপার রয়েছে। সেই বিষয়টিই এবার আরও বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা।
কখনও কি ভেবে দেখেছেন, আগামীকালই যদি পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায়, তাহলে সারাবিশ্বের ভাষাগুলোর কি হবে? আপনি ঠিকই অনুমান করছেন। মানুষের ভাষা, সাংস্কৃতি, মূল্যবোধও হয়তো এই গ্রহ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে! নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানুষের তৈরি সবকিছু।
তাই মানবজাতির ভাষা ও সংস্কৃতি চাঁদে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই ২৭৫টি ভাষার একটি ‘মেমোরি ডিস্ক’ নিয়ে একটি মহাকাশযান পৃথিবীর উপগ্রহটির দিকে রওয়ানা হবে।
স্পেসডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইস্পেস নামে একটি জাপানি চন্দ্র অনুসন্ধান সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো।
জানা গেছে, জাপানি সংস্থাটি মহাকাশে ও চাঁদে মানুষের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। ইউনেস্কোর সহায়তায় সংস্থাটি ২৭৫টি ভাষা এবং পৃথিবীতে উপস্থিত অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলোকে সংরক্ষণের লক্ষ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিযানের পরিকল্পনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
আপনি হয়তো ভাবছেন, এটা কিভাবে সম্ভব? এর উত্তর হলো, মেমোরি ডিস্ক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাকুতো-আর মিশন ২ চাঁদের পৃষ্ঠে একটি রোবটিক ল্যান্ডার পাঠাবে।
ওই ল্যান্ডারে করেই চাঁদে পাঠানো হবে মেমোরি ডিস্কটি। এর ফলে আমাদের পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের অবসান ঘটলেও মানবতার অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে মনে করা হচ্ছে।
আইস্পেস তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ইউনেস্কো মানব সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করা ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার উদ্দেশ্য মানব সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই মিশন পূরণ করতে মেমোরি ডিস্কে ইউনেস্কোর সংবিধানের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সংবিধান বিশ্ব ঐক্য, ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতির সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রকাশ করে। চলতি বছরই হাকুতো-আর মিশন ২ পরিচালিত বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।