জুমবাংলা ডেস্ক : চাকরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের হিসাব পেয়েছে যশোর দুদক।
দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন দুর্নীতি দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। জসিম উদ্দিন চৌগাছা উপজেলার জামতলা এলাকার বাসিন্দা।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, জসিম উদ্দিন ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। এরপর ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি এএসআই হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হন।
পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে তিনি দুর্নীতির প্রমান মেলে। ফলে ২০১৮ সালের ১৮ মে তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ পাওয়ায় তদন্তে নামে দুদক।
দুদুকের তদন্তে দেখা গেছে, জসিম উদ্দিনের নামে ১০ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। আর তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১০ টাকা। অর্থাৎ দুজনের সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকা।
সূত্রটি জানিয়েছে, জসিম উদ্দিন ওই অবৈধ টাকা দিয়ে চৌগাছায় একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। এই ভবনের নিচতলায় ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের শো-রুম রয়েছে। তিনি ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ভাড়া বাদদ ১২ হাজার করে পান। এ থেকে তার বৈধ আয় হয়েছে ৬ লাখ টাকা। কিন্তু দোকান ভাড়ার টাকা ছাড়া তার আর কোন বৈধ আয়ের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে বৈধ ৬ লাখ টাকা বাদ দিলে জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের পরিমাণ এক কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৩ টাকা।
দুদুকের পক্ষ থেকে তাদের দুজনকে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আলাদাভাবে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা নোটিশ গ্রহণ করলেও তাদের সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করেননি। ফলে দুদক সমন্বিত যশোর জেলার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।