বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পুরোনো ঠিকানাতেই ফিরিয়ে আনা হলো নোয়াম শাজিরকে। এই খবর জানা যায় গত মাসেই। তবে এজন্য তাঁকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে, তা এবার জানা গেল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা) দিতে হচ্ছে গুগলকে।
এর আগে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে ২০২১ সালে গুগল ছাড়েন দীর্ঘ সময়ের গবেষক নোয়াম শাজির। গুগলের প্রধান এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রজেক্ট জেমিনিতে নতুন টেকনিক্যাল হেড হিসেবে যোগ দিচ্ছেন নোম শাজির। জেফ ডিন ও অরিওল ভিন্যালসের সাথে কো-লিডার হিসেবে এবার শাজিরও থাকবেন জেমিনির নেতৃত্বে।
নোয়াম শাজির ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন উদ্ভাবনী চ্যাটবট প্ল্যাটফর্ম ‘ক্যারেক্টার এআই’ (ক্যারেক্টার ডট এআই)। সম্প্রতি গুগল জেমিনিতে যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ক্যারেক্টার এআইতেই স্টার্টআপটির প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রযুক্তি বিশ্বের বর্তমান ট্রেন্ড হচ্ছে এআই। সে কথা মাথায় রেখেই গুগল সাম্প্রতিক সময়ে এআই প্রযুক্তিতে তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে, যেমনটা মাইক্রোসফট, অ্যাপল, মেটার মতো টেক জায়ান্টরাও করেছে, এখনও করছে।
গুগলের এআই ডিভিশন ডিপমাইন্ডের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হচ্ছে জেমিনি, যার মাধ্যমে তৈরি এআই মডেলগুলোকে গুগল সার্চে ও পিক্সেল স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য, গুগল তাঁদের ‘এআই ওভারভিউজ’- এআই দিয়ে তৈরি সার্চ রেজাল্টের সামারি, ফিচারটি সম্প্রতি নতুন ছয়টি দেশে নিয়ে এসেছে।
এই প্রেক্ষাপটে নিজেদের এআই ডিভিশন ডিপমাইন্ডকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গুগল বিলিয়ন ডলার খরচ করে শাজিরের মতো বেশ কয়েকজন এআই গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়েছে। নোয়াম শাজিরকে যুক্ত করার পাশাপাশি তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘ক্যারেক্টার এআই’-এর সাথেও একটি লাইসেন্সিং চুক্তি করেছে এই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট।
২০১৭ সালে এআই প্রযুক্তি নিয়ে প্রকাশিত এক যুগান্তকারী গবেষণা পত্রের সহ-লেখক নোম শাজির। পরবর্তীতে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন, গবেষণা ও সার্বিক জনপ্রিয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই গবেষণা পত্রটি। যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কথা উল্লেখ আছে তাঁর গবেষণা পত্রেসেটাকে ব্যবহার করেই ক্যারেক্টার এআই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়।
গত বছর ১৯৩ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে আসতে সক্ষম হয় ক্যারেক্টার এআই এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে স্টার্টআপটির মূল্য নির্ধারিত হয় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের শেষ দিকে গুগলও কয়েক শ মিলিয়ন ডলার ক্যারেক্টার এআইতে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল এবং এ বিষয়ে আলোচনাও এগিয়েছিল কিছু দূর। কিন্তু দেখা গেল, প্রতিষ্ঠান নয়, প্রতিষ্ঠাতাকে নিতেই বেশি আগ্রহী গুগল।
উল্লেখ্য, শাজির প্রথমবার গুগলে যোগ দেন ২০০০ সালে। এবার দেখা যাক, পুনরায় শাজিরকে নিয়োগের মাধ্যমে কতটা সাফল্য পায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠানটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।