জুমবাংলা ডেস্ক: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল। কৃষি অফিসের পরামর্শে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখে এলাকার বেকার যুবকরা ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
জানা যায়, লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে বাবার ৭০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক ড্রাগন চাষ শুরু করলেও বর্তমানে আবরার অ্যাগ্রো ফার্ম ২ বিঘা ১০ শতাংশ জমিতে ৫ শতাধিক পিলারে ২০ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল বলেন, বাগান তৈরিতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। তবে আগামী ২০ বছর পর্যন্ত এর সুফল পাবো। বছরে প্রতিটি গাছ ফলন দেয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি। প্রতি কেজি ড্রাগনের বর্তমান বাজার মূল্য ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। চলতি বছর সিজন শেষে খরচ বাদে ১০ লাখ টাকা আয় হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন আমার বাগানে। এতে তাদের এখন আর নতুন করে কাজ খুঁজতে হয় না এবং অন্যের জমিতে যেতে হয় না। কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষি উদ্যোক্তা কাজল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাল ড্রাগনের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। পাশাপাশি কাজলকে দেখে, আশেপাশের গ্রামের ৩০ জন চাষি ২ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেছেন। শখের বসে হলেও বাগানগুলো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে, অর্থনৈতিকভাবে চাষিরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
এ ব্যাপারে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এখানকার আলো-বাতাস ও মাটি ড্রাগন চাষের জন্য উপযোগী। এখানকার মাটি উর্বর হওয়ায় কৃষকরা ড্রাগন চাষে লাভবান হতে পারবেন। বাজারে চাহিদাও বেশ ভালো ও ভালো দামও পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে মানিকগঞ্জে, পাওয়া যাচ্ছে ভালো দাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।