জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের বিরলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাকারী এক নারীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে আরও একজন। মামলার পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঢাকায় ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে (কিশোরী) অপহরণ করে রানীপুকুর এলাকার মোছা. শানু বেগম। পরে টাকার বিনিময়ে শানু বেগম মেয়েটিকে লিটন ও মোস্তফার হাতে তুলে দেয়। শানুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় ব্যাটারিচালিত অটোযোগে উপজেলার চককাঞ্চন এলাকার জীবনমহল পার্কে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিটন ও ধলু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তারা হলো- পলাশবাড়ী ইউপির মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদ ওরফে বছিরের ছেলে লিটন হোসেন ও কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনের ছেলে মো. মোস্তফা ওরফে ধলু।
এরপর মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শনিবার ফুলবাড়ী উপজেলায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রোববার সকাল ৮টায় রাজধানীর বাইপাইল নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে এক বাসায় রেখে আবারও তাকে ধর্ষণ করে। এদিকে ওই মেয়েটির পরিবার তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শানুর ওপরে পরিবারের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপহরণের কথা স্বীকার করে সে। পুলিশের সহায়তায় পরের দিন মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনে তারা। পরে মেয়েটি পরিবারের লোকজনকে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন উল্লিখিত তিনজনের বিরুদ্ধে বিরল থানায় মেয়েটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা করেন।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল কাদের জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অচিরেই পলাতক আসামি মোস্তফাকে আটক করতে সক্ষম হব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।