জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতারণার জাল বিস্তার জেলায় জেলায়। টার্গেট চাকরি প্রত্যাশী। জনপ্রতি নেয়া হয় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত চাকরি তো জোটেই না, উল্টো পড়তে হয় মামলার ফাঁদে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, চাকরির বাইরে সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে চক্রটির বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় আরো শক্ত আইন দরকার বলে মনে করছে পুলিশ।
বরিশালের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মহিউদ্দিন খান। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এক ব্যক্তি তাকে প্রস্তাব দেন তার কাছে অনেকগুলো সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে। এক সচিবের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগ্রহীদের তালিকা তৈরী করার পরামর্শ দেন। ১৭-১৮ জন চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ৯০ লাখ টাকা জোগাড় করে তুলে দেন কথিত ওই সচিবের কাছে।
ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ সন্ধান পায় আরসিডি বা রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্টের। যার প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান সচিব পরিচয়ে দেশের এক জেলা থেকে আরেক জেলা চষে বেড়ান দামি গাড়িতে চড়ে। চাকরি দেয়ার নামে দেশব্যাপী তার রয়েছে নেটওয়ার্ক।
প্রতারক চক্রের মাস্টারমাইন্ড ভুয়া সচিব এবং তার ভুয়া পিএসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নাম্বার টার্মিনালের ওয়ার্ক অর্ডারের ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে মোটার অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, প্রতারণার মামলা দুর্বল হওয়ায় অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যায়। জামিন নিয়ে আবারও জড়ায় একই অপরাধে। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পেছনে মানুষের অতিলোভী মানসিকতাকেও দায়ী করছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।