জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিটি মানুষেরই বিভিন্ন রকম আলাদা আলাদা শখ থাকে। কিন্তু সেই শখ যদি পেশাতে পরিণত হয় তাহলে কেমন হয় বলুন? আজকের এই প্রতিবেদনে সেরকমই একজনের সম্পর্কে জানতে পারবেন যিনি কোনো চাকরি পাচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় তিনি নিজের সাহস না হারিয়ে শুরু করেন বাগানের কাজ। কারণ ছোটবেলা থেকেই তাঁর গাছ খুবই প্রিয় ছিল। তিনি বাগান তৈরি করতে ভীষণ পছন্দ করতেন। তাই চাকরির চেষ্টা না করে তিনি নিজের শখকে রূপান্তরিত করেন নিজের পেশায়। বাড়ির ছাদেই শুরু করেন পদ্ম ফুলের চাষ। যা তিনি বিক্রি করে বেশ মোটা অংকের টাকা রোজগার করছেন বর্তমানে।
আসুন তাহলে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তাঁর নাম এলডহোস পি. রাজু। তিনি কেরালা রাজ্যের এর্নাকুলাম জেলার বাসিন্দা। তিনি নিজের বাড়িতে চাষ করেছেন পদ্মফুল গাছ। যা তিনি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রতিমাসে রোজগার করছেন বেশ মোটা অংকের টাকা। পি. রাজু প্রথমে কাতারে চাকরি করতেন। এরপর সেই চাকরি ছেড়ে দেশে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে বাড়িতে এলে তাঁর মনে হয় এদেশে ভালো একটা চাকরি তিনি পেয়ে যাবেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তিনি একটি ভালো চাকরি যোগাড় করতে পারেননি। আর এর কারণে খুবই ভেঙে পরেন তিনি।
ছোটবেলা থেকে গাছ লাগানোর প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকার কারণে এই শখকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেকে গাছ-গাছালি রোপনের সাথে যুক্ত করেন। এরপর তিনি শুরু করেন বাগান তৈরির কাজ। যেহেতু পদ্মফুল তাঁর খুবই পছন্দের একটি ফুলের গাছ তাই বাইরে থেকে কন্দ কিনে এনে তিনি তাঁর বারান্দায় পদ্মফুলের চাষ শুরু করেন। এরপর যখন তাঁর গাছে ফুল ফুটতে আরম্ভ করে তখন তিনি সেটার ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি পেতে শুরু করেন পদ্ম গাছের অর্ডার।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো রাজু পদ্ম চাষের কোনোরকম প্রশিক্ষণ নেননি। বরং তিনি পদ্ম ফুলের চাষ শিখেছেন ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে। তিনি বর্তমানে আমেরিকা ও থাইল্যান্ড থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পদ্মের চারা এনেছেন। তিনি বলেন, বেশিরভাগ উত্তর-ভারতে বসবাসকারী লোকেরা পদ্ম গাছের জন্য তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিল। তারপর তিনি সেই পদ্ধের কন্দ সেই সমস্ত লোকেদের পাঠাতে শুরু করেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই মুম্বাই, পুনে, নয়াদিল্লি ও কলকাতার বাসিন্দা। এছাড়াও দক্ষিণ ভারত জুড়েও রয়েছে তাঁর বহু গ্রাহক। এমনকি তিনি বর্তমানে হয়ে উঠেছেন বহু বেকার যুবক-যুবতীর অনুপ্রেরণা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।