অন্তর্জালে ভাইরাল হওয়া ‘চাচা হেনা কোথায়’ সংলাপটি ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার। ইফতেখার জাহান পরিচালিত এ সিনেমার কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লেখেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। সিনেমায় দেখা যায়, বাপ্পারাজ (বকুল) ও শাবনাজের (হেনা) মধ্যে ছোটবেলা থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময় গড়িয়ে যখন শাবনাজ তরুণী হয়ে ওঠেন তখন হঠাৎই একদিন গাছ থেকে পড়ে গিয়ে অন্ধ হয়ে যান।
অন্ধ প্রেমিকার চোখ ভালো করতে নিজের কিডনি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে শহরে ছোটেন বাপ্পারাজ। কিন্তু কিডনি বিক্রি করে টাকা নিয়ে গ্রামে ফিরে গিয়ে বাপ্পারাজ দেখেন তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে সিনেমার আরেক নায়ক অমিত হাসানের সঙ্গে।
সিনেমায় প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটার সে মুহূর্তেই বাপ্পারাজ নায়িকার বাবাকে শহর থেকে এসে জিজ্ঞাসা করেন, চাচা হেনা কোথায়? এরপরই উত্তর জেনে গভীর বেদনায় সিক্ত হন।
বর্তমানে প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটলে অনেক প্রেমিকই নিজেকে খুঁজে নেন ব্যর্থ প্রেমিক বাপ্পারাজের মধ্যে। তাই হঠাৎই নায়কের সে বিচ্ছেদ বেদনার সংলাপ এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। তবে হঠাৎ ঠিক কী কারণে সংলাপটি ভাইরাল হলো তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
নিজের ভাইরাল হওয়া সংলাপ প্রসঙ্গে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন,
৭৩টি সিনেমা পরিচালনা করেছি। সাড়ে তিনশোর বেশি চিত্রনাট্য লিখেছি। তারই একটি ‘প্রেমের সমাধি’।
ঝন্টু আরও বলেন, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘চাচা হেনা কোথায়’ সংলাপটি লিখেছিলাম গল্পের সিক্যুয়াল অনুযায়ী। লেখার সময় তখন ওত খুশি লাগেনি, যতটা খুশি এখন লাগছে।
সংলাপটি ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট্ট একটা সংলাপ ফেসবুকে ভাইরাল। আমাকে অনেকে ফোন করে বলছে। এটা আসলেই আনন্দের।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঝন্টু বলেন, এত বছর পর নেটদুনিয়ায় যারা সংলাপটি ভাইরাল করেছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এজন্য কৃতজ্ঞ যে, মানুষের প্রশংসা মানুষ শুনতে চায়। মানুষের বদনাম করলে অখুশী হয় আর সুনাম করলে খুশি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।