জুমবাংলা ডেস্ক : চাচির সহযোগিতায় এক ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে অভিযুক্ত যুবক সাব্বিরকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণের সহযোগিতা করায় ওই ছাত্রীর চাচি রুপালি বেগমসহ আরও দুজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। অভিযুক্ত যুবক পার্শ্ববর্তী সোনাখোলা গ্রামের আলমগীর মুন্সির ছেলে এবং চাচি রুপালি বেগম(২৮) গুণপালদী গ্রামের জাহিদ মিয়ার স্ত্রী অন্য দুজন একই গ্রামের ইব্রাহিম শেখ (১৭) ও আবদুল্লাহ মাতুব্বর (১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুণপালদী গ্রামের অভিযুক্ত যুবকের চাচি রুপালি বেগম এবং ভুক্তভোগী ছাত্রী পাশাপাশি ঘরে থাকেন। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী চাচির নিকট প্রায়ই ঘুমান। এভাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চাচি বখাটে যুবক সাব্বিরকে ফোন করে তার ঘরে ডেকে আনেন। এরপর সাব্বির ও ওই ছাত্রীকে এক রুমে দিয়ে, চাচি তখন অন্য দুই সহযোগীকে নিয়ে আরেক রুমে অবস্থান করে। তখন সাব্বির জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতব্বররা মীমাংসা করে দেবেন বলে ছাত্রীর পরিবারকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় মাস পার হলেও কোনও সমাধান না পেয়ে ভুক্তভোগী নিজে এসে বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুর রহমান ধর্ষণের ঘটনা ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আইও উপপরিদর্শক শওকত হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর বয়স ১৪ বছর কিন্তু সে পড়াশোনা গ্যাপ দেয়ায় সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে বলে মেয়েটি জানান। তবে মেয়েটিকে ধর্ষণসংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।