বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি দেশের মানুষ বোঝে না এবং এটি জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, “চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছুই এই দেশের মানুষ মেনে নেবে না।”
ফখরুল বলেন, দেশে গত ১৫ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট দলের শাসনের ফলে গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে গণতান্ত্রিক সুযোগ এসেছে। তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারিত অপপ্রচারেরও কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, “বিএনপি সবসময় সংস্কারের পক্ষে, যা তার জন্ম থেকে প্রতিফলিত হয়েছে।”
স্মরণসভাটি ডেমোক্রেটিক লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে পিআর সামনে এনেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের কোনো ধারণাই নেই। যাঁরা সংসদ সদস্য হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও কেউ এটা ভালোভাবে বোঝেন না। যাঁরা সংস্কার কমিশনে আছেন, তাঁরাও এটি প্রস্তাব করেননি। একটি রাজনৈতিক দল শুধু নির্বাচন বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যেই এটি সামনে এনেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, একটা কথা খুব স্পষ্ট, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরা তাই দেখতে চাই। জনগণও চায়, দ্রুত নির্বাচন হোক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাক দেশ। রাতারাতি বাংলাদেশকে বদলে ফেলা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রক্রিয়াটি শুরু হোক, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। এখন সবার দায়িত্ব, বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, কিছু মানুষ আমাদের ১৯৭১ সালের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একাত্তরের যুদ্ধের কারণেই আমরা স্বাধীন হয়েছি। আর স্বাধীন হয়েছি বলেই আজ নতুন রাষ্ট্র ও নতুন চিন্তার কথা ভাবতে পারছি। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যাঁরা পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছেন। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানেও অংশ নিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব, এই বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। স্মরণসভা সঞ্চালনায় ছিলেন এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা স্মরণসভায় বক্তব্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।