জুমবাংলা ডেস্ক : দলের দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সন্তান, আত্মীয়-স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। কোনো নেতার চামচামি করে আর যুবলীগের নেতা হওয়া যাবে না বলে ফরিদপুরের এক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতার দিকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
সম্প্রতি,ফরিদপু্রের যুবলীগের ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা নিক্সন চৌধুরীকে গত বুধবার ভাঙ্গার বাসায় ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক বড় নেতা, অনেক বড় আত্মীয়, অনেক বড় দানবের পতন হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ ফজলুল হক মনি। বর্তমানে যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের প্রতি দরদ, আবেগ আর ভালোবাসা পরশের চাইতে আর কারও বেশি হওয়ার কথা নয়।
সাংসদ বলেন, যুবলীগের আগের নেতারা দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে কমিটি ভেঙে দিয়ে পরশকে নতুন কমিটির দায়িত্ব দিয়েছেন। এ কমিটি দেড় বছর পার করেছে। করোনার এই সংকটজনক সময়ে সারা দেশে যুবলীগের কোনো কমিটি না হলেও গত ৫ মে যুবলীগের ফরিদপুর আহ্বায়ক কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সাংসদ নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘দলের দুর্দিনে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের, তাঁদের সন্তান, আত্মীয়স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের নিয়ে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। এ কাজে কোনো বড় নেতা, সাংসদ, মন্ত্রীর সুপারিশ রাখবেন না। মনে রাখবেন চামচামি করে নেতা হওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, ‘কারও কোনো সুপারিশ আপনারা শুনবেন না। আমার তিন উপজেলায় আমার রাজনীতির বাইরে, আমার অপছন্দের কাউকে যুবলীগে স্থান দিলে আমি তাতে বাধা দেব না।’
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ফরিদপুর যুবলীগের কমিটি গঠনে কোনো বড় নেতা, সাংসদ, মন্ত্রীর সুপারিশ রাখবেন রাখা হবে না। এতে আমার তিন উপজেলায়, আমার অপছন্দের কাউকে যুবলীগে স্থান দিলে আমি তাতে বাধা দেব না।
তিনি আরও বলেন, যুবলীগের আগের নেতারা দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। এখন ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ ফজলুল হক মনি। বর্তমানে যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। আগামীর যুবলীগ হবে মানবিক যুবলীগ, কোনো বড় নেতার তদবির এখানে চলবে না। কোনো নেতার চামচামি করে যুবলীগের নেতা হওয়া যাবে না।
এ সময় সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সাহাদাত হোসেন নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম তালুকদার ও খান মো. শাহ সুলতান রাহাত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।