আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গৃহপালিত বিভিন্ন প্রাণীর চামড়াকে কেন্দ্র করে অনেক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বছরজুড়েই সারাবিশ্বে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ থেকে শুরু করে অন্য প্রাণীর চামড়া সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়।
অবশ্য কেবল চামড়ার জন্য প্রাণী হত্যার ব্যাপারে এর আগেও সমালোচনা হয়েছে। চীনে গাধার চামড়া থেকে ওষুধ তৈরির বিষয়টি ব্যাপক সমালোচিত। এবার ভিয়েতনামে কুমির নৃশংসভাবে হত্যা করে চামড়া সংগ্রহের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কেবল চামড়ার জন্য নৃশংসভাবে গণহারে মেরে ফেলা হচ্ছে কুমির। কুমিরের চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে ব্যাগ, মানিব্যাগ, বেল্ট ও জুতা বানানো হচ্ছে।
খামারে হাজার হাজার কুমির বড় করা হচ্ছে। খামারেও অল্প জায়গায় রাখা হচ্ছে কুমিরগুলো। এরপর তাদের ধরে এনে মাথায় ক্ষত তৈরি করে সেখানে লোহার শিক ঢুকিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। মেরে ফেলার সময় কুমিরের হাত-পা বাঁধা থাকছে। মাথায় ক্ষত তৈরির পর কুমিরের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়।
তারপর চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। ভিডিওতে চামড়া ছাড়ানো কুমিরের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ভিয়েতনামে লুইস ভুটন নামক একটি সংস্থা চামড়ার ব্যাগ তৈরি করে। তাদের একটি খামারে দেখা গেছে, হাজার হাজার কুমির রয়েছে। সেখান থেকে তিন মাসে অন্তত দেড় হাজার কুমির মেরে চামড়ার ব্যাগ বানানো হয়।
অল্প আকারের একটি খামারের চৌবাচ্চায় অন্তত পাঁচ হাজার কুমির সেখানে রাখা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কংক্রিটের তৈরি সেই চৌবাচ্চায় কুমিরগুলো গাদাগাদি করে আছে।
বন্যপ্রাণী অধিকারকর্মীরা বলছেন, সেখানে একেবারে নাজুক পরিবেশে খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে বড় হচ্ছে কুমিরগুলো। তারপর নৃশংসভাবে তাদের মেরে চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৫ মাস পর্যন্ত তাদের এভাবে রাখা হয়। তবে, এরই মধ্যে একটু বড় আকারের কুমিরগুলো বেছে বেছে ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে চামড়া ছাড়ানো হয়।
ভিডিওটি দেখতে পারেন-
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।