আপনি কি বিস্কুটের সঙ্গে এক কাপ গরম চা দিয়ে আপনার দিন শুরু করেন? এই অভ্যাস বন্ধ করার সময় এসেছে। বিস্কুট-চা কম্বো অনেকের জন্য সকাল বা সন্ধ্যার একটি সাধারণ ট্রিট তবে এটি আপনার ধারণার চেয়ে বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে। হয়তো ভাবছেন, সাধারণ একটি খাবার কেন এত ক্ষতিকর হবে? আসলে আমাদের পরিচিত অনেক খাবারই গোপনে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে যে সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই।
ডায়েটিশিয়ানদের মতে, বিস্কুট এবং চায়ের সংমিশ্রণ আপনার হরমোনগুলোকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। চায়ের সঙ্গে নিয়মিত বিস্কুট খেলে কী কী অপকার হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
চিনি
বিস্কুট, বিশেষ করে প্যাকেট করাগুলো বেশিরভাগ সময়েই পরিশোধিত চিনি দিয়ে ভরা থাকে। অত্যধিক চিনি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, প্রদাহ এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এটি ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে চিনিযুক্ত বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
ময়দা খাওয়ার প্রভাব
অনেক বিস্কুটে ব্যবহৃত মিহি ময়দাও অপরাধী। এটি আপনার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে প্রদাহ এবং হরমোন সংকেত সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত পরিমাণে ময়দা খাওয়া ওজন বৃদ্ধি এবং হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। কেবল বিস্কুটই নয়, ময়দাযুক্ত অন্যান্য খাবারও কমিয়ে আনতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।
অতিরিক্ত পাম অয়েল
পাম অয়েল বিস্কুট সহ অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবারের একটি সাধারণ উপাদান। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এটি লিপিড প্রোফাইল ভারসাম্যহীনতা, প্রদাহ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধে কাজ করতে পারে। তাই বিস্কুট এড়িয়ে চলা জরুরি। চায়ের সঙ্গে খাওয়া তো বন্ধ করবেনই, অন্যান্য সময়েও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।