আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিখোঁজ থাকার চারদিন পর দলীয় কার্যালয় থেকে বিজেপির এক নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেলের মিডিয়া কনভেনারের দায়িত্বে ছিলেন। খবর এনডিটিভি
পরিবারের দাবি, গত সোমবার রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে পুলিশ শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার অন্তর্গত দ্বীপের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজেপির ওই নেতা হলেন পৃথ্বীরাজ নস্কর। কয়েক বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকেই সক্রিয়ভাবে দলীয় দায়িত্ব পালন করতেন।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে, পৃথ্বীরাজের কাছে সব সময় তিনটি ফোন থাকত। রোববার তার বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান ছিল। বোনেদের কাছ থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন তিনি। তারপর সোমবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের অভিযোগ, ফোনটি কখনও চালু আবার কখনও বন্ধ দেখাচ্ছিল।
পৃথ্বীরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যেরা জানতে পারেন, দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে তার মরদেহ পড়ে আছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে তার দেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দিকে ইঙ্গিত করেছে তৃণমূল। এলাকার শাসকদলের যুবনেতা ইমরান হাসান বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের সময়ে তাদের হাতে প্রচুর টাকা এসেছিল। তার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
তবে তৃনমূলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতা অশোক পুরকাইত। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো চক্রান্ত রয়েছে। পৃথ্বীরাজ সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। এখানকার সংগঠনে তার বড় ভূমিকা ছিল। প্রশাসনের উপর আমাদের কোনো ভরসা নেই। বিজেপি করার অপরাধেই এই খুন হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে বিজেপির নেতা হত্যাকাণ্ডে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নারী পৃথ্বীরাজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।