আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ করা হয়েছে। চার নারী কংগ্রেস সদস্যকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলে এই অভিযোগের শিকার হন তিনি।
রবিবার টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেন, ‘এরা এমন সব দেশ থেকে এসেছে, যাদের সরকার ব্যর্থ। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কীভাবে পরিচালনা করতে হবে, সে পরামর্শ দেওয়ার বদলে তাদের উচিত হবে যার যার দেশে ফিরে যাওয়া।’
যে চারজন কংগ্রেস সদস্যকে লক্ষ্য করে ট্রাম্প এ কথা বলেন তারা হলেন- আলেকজান্দ্রিয়ার ওকাসিও-করতেস, রাশিদা তালিব, আইয়ানা প্রেসলি ও ইলহান ওমর।
এদের মধ্যে প্রথম তিনজনেরই জন্ম ও বেড়ে উঠা যুক্তরাষ্ট্রে। শুধু ইলহান ওমরই সোমালিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। আর ওকাসিও-করতেসের জন্ম নিউইয়র্কের কুইনস হাসপাতালে। এই হাসপাতালে ট্রাম্প নিজেই জন্মগ্রহণ করেন।
এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য বর্ণবাদী বক্তব্য। তার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে আমেরিকাকে বিভক্ত করা। কিন্তু আমেরিকার আসল শক্তি তার বহুজাতিকতা, তার বর্ণবৈচিত্র্য।
স্পিকার আরো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উচিৎ আমাদের সঙ্গে মানবাধিকার নীতির জন্য কাজ করা। যা আমেরিকান মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।
কংগ্রেস সদস্য ওকাসিয়া-করতেস টুইটারে লেখেন, আপনি ক্রুদ্ধ, কারণ আপনি এ কথা বুঝতে অক্ষম যে আমেরিকা এমন এক দেশ, আমরাও যার অন্তর্ভুক্ত।
আরেক কংগ্রেস সদস্য আইয়ানা প্রেসলি ট্রাম্পের কথায় পাল্টা টুইটে লেখেন, ট্রাম্পের কথায় বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তার লক্ষ্যই হলো অভিবাসীদের মানবেতর প্রমাণ করা।
ইলহান ওমর লেখেন, কংগ্রেস সদস্য হিসেবে আমরা সবাই আমেরিকাকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।