জুমবাংলা ডেস্ক : চারজন পুলিশ সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের পর প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযানে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছেন মাদক কারবারি মিলন (৩৫)। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ভানুকর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায়। এই মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফেনসিডিল ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনীটি।
মিলনের বাড়ি বাঘা উপজেলার ভানুকর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. মাসুদ। পুলিশের ওপরে হামলা চালাতে গিয়ে মিলন নিজেও আহত হয়েছেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন বাঘা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার লুৎফর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নূরুন্নবী, এএসআই রেজাউল করিম, এএসআই মাসুদ পারভেজ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদপ্রার্থী শরীফ উদ্দিন। চার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পরে লুৎফর রহমান ও মাসুদ পারভেজকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নূরুন্নবী ও রেজাউল করিম চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শরীফ উদ্দিনও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বিকালের দিকে বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রেজা সরকার খবর পান বাঘার থানার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম ভ্যানেকরে ভারতীয় ফেনসিডিল ঢুকছে। এ খবর পেয়ে তিনি একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে ওই গ্রামে অবস্থান নেন। এ সময় কয়েকজন মাদক কারবারিকে ফেনসিডিল নিয়ে গ্রামে ঢুকতে দেখতে পেয়ে তাদের ধরার জন্য ধাওয়া করে পুলিশ সদস্যরা। এসময় মিলন ধারালে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপরে হামলা চালান। পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মিলন রিপন নামের একজন মাদক কারবারির ঘরে গিয়ে আশ্রয় দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ খবর দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জড়ো হন। স্থানীয় লোকজন মিলনকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার আহবান জানান। একপর্যায়ে তিনি দরজা খুলে একটি অস্ত্র দিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে আঘাত করে আবার ঘরের ভেতরে ঢুকে যান। ঘরের জানালা দিয়ে পুলিশের ওপরে ইটাপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশও জানালা দিয়ে শটগানের গুলি ছুড়লে মিলন জানালা বন্ধ করে দেন। অবশেষে প্রায় দুই ঘণ্টা পরে মিলন আত্মসমর্পণ করেন। ততক্ষণে তার হামলায় চারজন পুলিশ সদস্য ও ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী শরীফ উদ্দিন আহত হয়েছেন।
ওসি বলেন, মিলনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদকের চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এ জন্য ধরা না দিতে তিনি পুলিশের ওপরে হামলা চালান। তাকে ধরার পরে তার কাছ থেকে তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি জানান, মিলনের বিরুদ্ধে এখন নতুন তিনটি মামলা হবে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনে একটি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।