গাইবান্ধার রংপুর চিনিকল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সুখবর রয়েছে। এটি আবারো চালু হতে যাচ্ছে। এর আগে একটানা চার বছর এটি বন্ধ অবস্থায় ছিল। এ খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ সন্তুষ্ট। কারণ তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

এজন্য আখ চাষে মনোযোগি হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ চিনিকল যেন প্রথমে কাজ করতে পারে সেজন্য আখ চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। তার জন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চার বছর পর গাইবান্ধার চিনিকলটি চালু করা সহজ হবে না।
৩৫ একড় জায়গা জুড়ে এটি নোংরা হয়ে গেছে। ভেতরের সমস্ত যন্ত্রপাতি অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। সরকারের সদিচ্ছা এবং আগ্রহের ভিত্তির ওপর নতুন করে চিনিকলটি চালু হতে যাচ্ছে। এই ভালো খবরের মাধ্যমে যারা স্থানীয় কৃষক তাদের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তারা আখ বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। তারা চাচ্ছেন যেন যত দ্রুত সম্ভব এ কারখানাটি চালু করা হয়। মিলের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা চার বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ ছিল। এর মাধ্যমে অতি দ্রুত অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হওয়ার আশা করা যাচ্ছে।
গাইবান্ধার রংপুর চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবু সুফিয়ান সুজা বলেন, মিলটি পূর্ণাঙ্গ চালু না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরবে না। কারণ বিগত দিনেও আশ্বাস দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত মিল চালু করা যায় নি। দ্রুত এটি চালু করতে হবে।
বন্ধ ৬টি চিনিকলের মধ্যে রংপুর চিনিকল তৃতীয় ধাপে চালুর সম্ভবনা রয়েছে। সে লক্ষ্য নিয়ে আখ চাষ বাড়ানোসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা আকতার জাহান। তিনি বলেন, অন্তত তিন মাসের সক্ষমতা অর্জন করেই মিলটি চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে আখ মাড়াইয়ের মাধ্যমে চিনি উৎপাদন শুরু হয় গাইবান্ধার রংপুর চিনিকলে। সবশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে আখ মাড়াই শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হলেও বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।