আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের গুরুগ্রামের নুহ পিপরোলি গ্রামে একই ঘরের চার বোনের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা করেছে স্থানীয় পুলিশ। তাদের দাবী, প্রত্যেকটি খুন একই পন্থায় হয়েছে। চার মেয়ের মাকেই প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত মনে করা হচ্ছে। নিহতদের মা বর্তমানে হাসপাতালে আছে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, চার বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে। তা মা এই কাজ করেছে বলে প্রাথমিক ধারনা করছে পুলিশ। ওই নারীর নাম ফারমিনা। তার স্বামীর নাম খুরশিদ। ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের ঘরে ৪ মেয়ে মুসকান, আলসিফা, মিসকিনা ও আট মাসের মেয়ে সন্তান জন্ম হয়।
প্রতিবেশীরা বলছেন, পরিবারটি খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতো। কখনো তেমন সমস্যার কথা শোনা যায়নি। নিজ সন্তানকে এভাবে খুন করায় সবার মধ্যেই এখন একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফারমিন নিজেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। পরে এলাকবাসী তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
জানা যায়, ঘটনার আগের রাত ৩টা থেকে ফারমিনার ঘরের দরজা বন্ধ পান খুরশিদ। বেশ কয়েকবার দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়া তিনি পাননি। এরপর ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিয়ে খুরশিদ দেখতে পান নিজের গলা কাটছেন ফারমিনা। তখনই তিনি চিৎকার করেন এবং প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। পরে খুরশিদের ভাইপো সাবির খান দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। সেই সময়ই দেখা যায় চার বোন গলা কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।