জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারি সহায়তার চাল আত্মসাৎ করায় বৃহস্পতিবার বরিশাল ও বরগুনার দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরমধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুলে ইসলামের বিরুদ্ধে। অপর মামলা মামলাটি করা হয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুর বিরুদ্ধে। দুই আসামিকেই গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে যারা গরিবের ত্রাণের চাল আত্মসাত ও দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দ্রততম সময়ের মধ্যে দেয়া হবে।
দুদক পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, সরকারি সাহায্যের সাড়ে ২৭ হাজার কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আলাউদ্দিন পল্টুর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর উপ-সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, পাথরঘাটা উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, আলাউদ্দীন পল্টু ৫৫০টি জেলে পরিবারের ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব পান। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ভিজিএফের চাল স্থানীয় ট্যাগ অফিসারকে না জানিয়ে মাস্টার রোলে সঠিক বিতরণ দেখান। উপকারভোগীদের ৮০ কেজি করে চালের পরিবর্তে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন তিনি। এভাবে তিনি ৫৫০টি পরিবারের সাড়ে ২৭ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। যার সরকারি মূল্য ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। গ্রেফতার পল্টু বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। অপরদিকে কাজী শহীদুল আলম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পরযন্ত ভিজিএফ (মৎস্য) চাল জেলে পরিবারের মধ্যে বিতরণের ৩০ হাজার ৭২০ কেজি চাল তোলেন। নিয়মানুসারে ওই ইউনিয়নের ৩৮৪ জন জেলের মধ্যে মাসিক ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা। তিনি সংশ্লিষ্টদের না জানিয়ে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। জেলেদের মধ্যে কেবলমাত্র ফ্রেব্রুয়ারি মাসের চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে। তিনি ৩৮৪ জেলেকে ১০ কেজি করে চাল কম দিয়ে আত্মসাৎ করেন। যার বাজার মূল্য এক লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা। দুদকের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল মামলাটি দায়ের করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



