জুমবাংলা ডেস্ক: কাজ শেষ করেও বিল পাচ্ছেন না ঠিকাদার, চা-নাস্তা করতে ১১ হাজার টাকা ঘুষ দাবি প্রকল্প কর্মকর্তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলা (হাওর অঞ্চলের অবকাঠমো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প) হিলিপ’র সমন্বয়কারী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি চা-নাস্তা করতে এক ঠিকাদারের কাছে দাবি করেছেন ১১ হাজার টাকা ঘুষ। এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী মো. লিটন মিয়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারী নিবার্হী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হিলিপ’র প্রকল্প পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন নিবার্হী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরের চ্যাঙ্গা মোড়া সড়কের কাজ সম্পন্ন করেছেন দুই বছর আগে। ঘুষ না দেয়ায় কাজের বিল পাচ্ছেন না ঠিকাদার লিটন মিয়া। তাছাড়া অন্য একটি কাজের জন্য দাবি করেন মোটা অংকের টাকা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধের ব্যাপারে নির্দেশ দিলেও কোন কিছুই শুনছেন না এই কর্মকর্তা। বরং বিভিন্ন সময় ঘুষ দাবি করে আসছেন হিলিপ কর্মকর্তা জাকির হোসেন। চা-নাস্তা বাবদ ঘুষ দাবি করেছেন ১১ হাজার টাকা।
আরও জানা যায়, হিলিপের একজন সিনিয়র প্রকৌশলীর আর্শীবাদের কারণে তার এমন বেপরোয়া মনোভাব। ওই প্রকৌশলীর জোরেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছেন তার সকল অপকর্ম। আবুল কাসেম নামে ভূক্তভোগি জানান ঘুষ না পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জাকির হোসেন আমাকে জেল খাটিয়েছেন। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
ভূক্তভোগী লিটন মিয়া জানান, ঘুষ না দেয়ায় জাকির হোসেন আমাকে র্দীঘদিন যাবৎ ঘুরাচ্ছে। কাজ শেষ করেও কাজের বিল পাচ্ছি না। উল্টো বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। কোন উপায় না পেয়ে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিবার্হী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত হিলিপ’র নাসিরনগর উপজেলা সমন্বয়কারী জাকির হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। যদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যদি কোন প্রতিবেদন আমার বিরুদ্ধে দিয়ে থাকে তাহলে তা এক তরফা বলে তিনি দাবি করেন।
এই ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিবার্হী প্রকৌশলী মো. শিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রকল্প পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।