লাইফস্টাইল ডেস্ক : চিংড়ির মালাইকারি, লাউ চিংড়ি কিংবা ডাব চিংড়ি এই সমস্ত লোভনীয় পদের নাম শুনলেই অনেকেরই নলা পড়তে থাকে। চিংড়ি এমনই একটি মাছ যা আপামর বাঙালির মনের মনিকোঠায় স্থান পেয়েছে। কিন্তু এই মনিকোঠায় রাখা জিনিসই আবার কখনো কখনো হয়ে উঠতে পারে বিপদজনক তারই সন্ধান দেবো আজ।
চিংড়িমাছ আমরা সঠিকভাবে পরিষ্কার করে রান্না না করলে এটি হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। তাই কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন সে সমস্ত কিছুই জানাবো আজকের এই প্রতিবেদনে। অনেকেরই এলার্জি সমস্যা থেকে যাবে মারাত্মক শেলফিস এলার্জি থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই চিংড়ি মাছ থেকে থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
অনেকেরই ইমিউনোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া হয় যার ফলে তাদের অল্প পরিমাণে চিংড়ি মাছ খেলেও এলার্জি বাড়তে পারে কারণ আমরা জানি অনেকেরই ফুড এলার্জি থেকে শুরু করে গুরুতর এলার্জি যেমন এনাফিলাক্সিস নামক মারন প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই কারণে চিংড়ির কালো শিরা অবশ্যই ফেলে দিয়ে খাওয়া উচিত।
চিংড়ির মাথা কেটে তারপর লেজটিকে কেটে নিয়ে অবশ্যই খোসা ছাড়িয়ে পেটের ভেতর থেকে কালো শিরা বেছে ফেলে দেওয়া উচিত। পরে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে রান্না করা দরকার। তবে কখনো কখনো কারোর শেলফিসে এলার্জি না থাকলেও চিংড়ি মাছের শিরা রয়েছে।
এমন চিংড়ি মাছ খেলে হতে পারে শ্বাসকষ্ট ফুসকুড়ি বা গলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি। এমনকি মৃত্যু হতে পারে। তবে যাদের অ্যালার্জি থাকে তাদের কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন যেমন যা খেলে এলার্জি হয় তা পরিত্যাগ করা পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছের বাজার এড়িয়ে চলা উচিত।
রেঁস্তোরায় খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন আর অবশ্যই কোন কিছু কেনার আগে লেবেল পড়ে দেখে নেয়া উচিত। সেই মাছের ব্যবহার হয়েছে কিনা এই সতর্ককতা গুলি মেনে চললেই সহজে বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।