জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চিত করা এবং তাদের জন্য বীমা সুবিধাসহ সরকার ঘোষিত সকল সুবিধা দিতে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বাড়িওয়ালাদের হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য এডহক ভিত্তিতে আরো চিকিৎসক নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, আইন সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ওবায়দুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, সরকারি নির্দেশনা মেনে দেশের সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই সেবা দিতে যেয়ে পর্যাপ্ত পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টের (পিপিই) অভাবে কোনো কোনো চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। করোনাভাইরাস সংক্রামক রোগ হওয়ায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পিপিই অত্যন্ত জরুরি। গত ২২ মার্চ হাইকোর্ট চিকিৎসক ও নার্সদের দ্রুত পিপিই প্রদানের নির্দেশ দেন। তথাপিও পর্যাপ্ত পিপিই না থাকার কারণে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে ঐ আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংস্পর্শে আসা অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গত ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম একজন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বীমার আওতায় আনার কথা বলা হলেও তা কোনো আইন বা নীতিমালার অধীনে কিভাবে বাস্তবায়ন হবে এখন পর্যন্ত কেউ জানে না। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ণ করা অত্যন্ত জরুরি।
নোটিশে আরো বলা হয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকমীরা ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, একদল বাড়িওয়ালা বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করছেন। যা অযৌক্তিক এবং অমানবিক। এতে তাদেরকে মানসিকভাবে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, আমাদের দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক পর্যাপ্ত নেই। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী এডহক ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করে করোনার প্রাণঘাতি ছোবল থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।