জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথে চিকিৎসার নামে তরুণীকে দেড়বছর ধর্ষণের অভিযোগে এক কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার কমর উদ্দিন ওই উপজেলার খাজাঞ্চী ইউপির রহিমপুরের ইউনুস আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা জানান, চিকিৎসার নামে আটকে রেখে দেড় বছর ধরে তার মেয়েকে ধর্ষণ করছিলেন কমর উদ্দিন।
তিনি বলেন, বছর দেড়েক আগে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে কবিরাজ কমরুদ্দিনের কাছে নিয়ে যাই। তিনি আমার মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে বলেন ও ১০ হাজার টাকা চান। আমিও টাকা দিয়ে ও মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি। পরে মেয়েকে আনতে গেলে তিনি ফেরত দিতে চান না। বরং নানা হুমকি-ধমকি ও ভয়-ভীতি দেখান। দেড় বছর ধরে ওই কবিরাজ আমার মেয়েকে তালাবন্দী রেখে ধর্ষণ করছিলেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামিম মূসা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ পেয়ে সিফা তদবিরালয় থেকে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার ও কবিরাজের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করা হয়। মধ্যরাতে আটক করা হয় কবিরাজ কমরুদ্দিনকে। পরে ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারের পর ধর্ষণের শিকার তরুণী জানিয়েছেন- কবিরাজ কমরুদ্দিন চিকিৎসার নামে দিন-রাত ঘরের ভেতর তালা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করতেন। এছাড়া ভুয়া বিয়ের কাগজ তৈরি করে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন ওই কবিরাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।