সব ধরনের টার্গেট ছাড়িয়ে অতিরিক্ত উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে নাটোরের চিনি কল। সেখানে ১ হাজার টন বেশি চিনি উৎপাদিত হয়েছে। যা টার্গেট করা হয়েছিল তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেড় যুগ পড়ে এ ধরনের অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। কর্মকর্তারা আশা করছে যে, সব ধরনের লোকসান কেটে যাবে।
এ বছর চাষীরা ভালো মুনাফা অর্জন করেছে। আখ মাড়াই এর কাজ এখনো শেষ হয়নি। তারা বিশ্বাস করে যে, আখের উৎপাদন সামনে আরো বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া সার, বীজ এবং ঋণ সহায়তার ক্ষেত্রে কোন সংকট নেই। ৯০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই চলবে এ ধরনের টার্গেট ছিল। এ টার্গেট সামনে রেখে 29 নভেম্বর চিনিকলের কাজ শুরু হয়। প্রথমে টার্গেট করা হয়েছিল ৫ হাজার ১৩০ টন চিনি উৎপাদন করা হবে। পরে 6 হাজার 149 টন পর্যন্ত উৎপাদিত হয়।
নাটোর চিনিকলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আখলাছুর রহমান জানান, দেড় যুগ পর নাটোর চিনিকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ হাজার টন বেশি চিনি উৎপাদন হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় হওয়ায় কৃষকদের দ্রুত মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। সরবরাহ ভালো থাকায় এ মৌসুমে আখ মাড়াই হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টন। প্রতি বছর গড়ে ১০ কোটি টাকা লোকসান গুণলেও এবার লাভের আশা করা যাচ্ছে।
নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াইয়ে কাজ করেন সাত শতাধিক মৌসুমী শ্রমিক। শ্রমিকেরা জানান, মাড়াই শেষে বাকি সময় বেকার থাকেন। তাই সারা বছর মিলের উৎপাদন চালু রাখলে কর্মসংস্থানের জন্য আর অন্য কিছু ভাবার প্রয়োজন পড়ে না।
চাষিরা বলছেন, মিলে সরবরাহ আখের দাম দ্রুত পরিশোধ ও ন্যায্য দাম পেলে মিলে আখ দেওয়া বাড়বে। নাটোর চিনিকলে এ মৌসুমে উৎপাদিত চিনির মূল্য প্রায় ৭৭ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।