জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
জামিন চেয়ে চিন্ময়ের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ রুল জারি করে।
আসামির আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, চিন্ময়কে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে জানাতে বলেছে আদালত।
গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এ নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি হাই কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আবেদন করেন চিন্ময়।
এর আগে, গত বছরের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাশের জামিন নাকচ করে দেয় চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালত। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
তারেক রহমান ও সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিলতারেক রহমান ও সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর সেদিনই চিন্ময় দাশের আইনজীবীরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে আবার জামিন আবেদন করলেও সেদিন আর শুনানি হয়নি।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে সনাতনী সম্প্রদায়ের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রামের ইসকন পরিচালিত মন্দির পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রক্ষচারী।
গত বছরের অক্টোবরে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া রঙের আরেকটি পাতাকা টাঙানোর অভিযোগে ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাশসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। মামলাটি করেন ফিরোজ খান নামের এক ব্যক্তি। এরপর এক মাসের মাথায় ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে জানানো হয়, কোতোয়ালি থানার ওই মামলায় চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।