জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ বার্ধক্য। এর সঙ্গে ত্বকের সম্পর্ক সুগভীর। বয়স বাড়ার সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠে। ত্বক অমসৃণ হয়। নানা দাগছোপ পড়ে। অথচ আমরা এসব সমস্যা সমাধানে, বিশেষত ত্বকের সজীব রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, অনেক চেষ্টাই তো করলাম, কিন্তু কিছুই তো হলো না। কত বিদেশি ক্রিম, টনিক ব্যবহার করা হলো, তাতেও কিছু হলো না।
এটা ঠিকই। তবে আমাদের প্রকৃতিতে রয়েছে বেশুমার উপাদান, যা দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। কোনো কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজনই পড়বে না।নিজের শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে পারলে তারুণ্যের আভা বজায় রাখা যাবে। অলিভ অয়েল, লেবুর রস আর মধু হলো তিনটি শক্তিশালী উপাদান, যা যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েলকে তরল সোনা বলা হয়। এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্টেসমৃদ্ধ, বিশেষ করে ভিটামিন ই, যা ত্বকের পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। অলিভ অয়েলের নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ত্বককে মসৃণ, আর্দ্র ও বলিরেখামুক্ত রাখে। অলিভ অয়েল হার্টের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে, যা আমাদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি ও জীবনীশক্তি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেবুর রস ভিটামিন সির একটি প্রাকৃতিক উৎস। এ এক অপরিহার্য পুষ্টি, যা কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন হলো প্রোটিন, যা আপনার ত্বককে দৃঢ় ও স্থিতিস্থাপক রাখে, ঝুলে যাওয়া ও বলিরেখা রোধ করতে সাহায্য করে। লেবুর রসে থাকা উচ্চ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা অকালবার্ধক্যের কারণ। প্রতিদিনের রুটিনে লেবুর রস থাকলে ত্বক হয়ে উঠবে তরতাজা ও তারুণ্যময়।
মধু কেবল একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি নয়, এটি কার্যকর ময়েশ্চারাইজারও, যার অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য আছে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর মধু ত্বকের কোষকে মেরামত ও পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে, সূক্ষ্ম রেখা ও বলির উপস্থিতি হ্রাস করে। এর প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় কোমল ও আর্দ্র। নিয়মিত মধু খাওয়া সেবন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকতে সাহায্য করে।
তারুণ্য ধরে রাখার সহজ রেসিপি
উপকরণ
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ টেবিল চামচ মধু
প্রণালি
একটি ছোট পাত্রে সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে। তারপর সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে গুলিয়ে পান করতে হবে। এটি একটি শক্তিশালী ড্রিংক। চমৎকার স্বাদের এই পানীয় ত্বক, চুল ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত পানে মিলবে সতেজতা ও তারুণ্য।
নিজেকে চিরতরুণ করে তুলতে চাইলে দৈনন্দিন রুটিনে অলিভ অয়েল, লেবুর রস ও মধু যোগ করতে হবে। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে মন্থর করে। তবে যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।