চিনা এআই ডিপসিক প্রযুক্তি জগত কাঁপিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এ চীনা এআই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে। ডিপসিকের সাফল্যের পর মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। তাদের শেয়ার নেমে যাচ্ছে অতি দ্রুত।
এরকম একটি এআই যা চ্যাটজিপিটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে তা অনেক কম মূল্যে তৈরি করা হয়েছে। ওপেন এআই এর সাথে প্রতিযোগিতায় এটি ভালোভাবেই টিকে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যারা ডিপসিক নির্মাণ করেছেন তাদের দাবি অনুযায়ী কম খরচ হবে এটা বিবেচনা করেই চিপসেট ব্যবহার করেছে তারা।
সিলিকন ভ্যালির অন্যতম প্রভাবশালী ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট মার্ক অ্যান্ড্রিসেন। তাঁর একটি উক্তি জানা যাচ্ছে আল জাজিরার সূত্রে, ‘এটি এআইয়ের স্পুৎনিক কাল।’ মহাকাশ জয়ের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল রাশিয়া। সবার আগে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে তারা দেখিয়ে দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রই শেষ কথা নয়। ডিপসিক সবার আগে আসেনি বটে, কিন্তু গত কদিনেই চ্যাটজিপিটিকে পেছনে অ্যাপলের অ্যাপস্টোরে শীর্ষে উঠে গেছে এই এআই। বুঝতেই পারছেন, কী ঝড় বইয়ে দিয়েছে এই এআই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহেই ঘোষণা দিয়েছেন, ওপেনএআই, একই দেশের ওরাকল এবং জাপানের সফটব্যাঙ্কের নেতৃত্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে দেশটি। সেই সঙ্গে এও বলেছেন, ‘এই যুদ্ধে জয়ের প্রতি তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে তাদের।’
কারা বানাল এই ডিপসিক এআই? ডিপসিক। এটি চীনের হ্যাংঝুনির্ভর একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। ২০২৩ সালের শেষদিকে যাত্রা করে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়েনফেংকে এতদিন চীনের বাইরে কেউ তেমন চিনত না বটে, তবে আগেও তিনি প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ মিলিয়ে ভালো কারিশমা দেখিয়েছেন। হাই-ফ্লায়ার নামে একটি হেজফান্ডও সফলভাবে চালাচ্ছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে শুধু “কৌতূহল”-এর বশে পা রেখেছেন তিনি।’
এত অল্প খরচে এত ভালো মানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে চীন বিশ্বকে নতুন বার্তা দিল। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করা ডিপসিক তৈরি করার ক্ষেত্রে কর্মী ছিল মাত্র ২০০। মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়া এত বড় ধাক্কা খাবে তা কেউ ভাবেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য বিষয়টি মোটেও সুখবর নয়। চীনের কাছে চিপসেটের সংখ্যা কম থাকলেও তাদের সক্ষমতা রয়েছে। চীনের ওপর এত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও কোন কাজে লাগতো না। তবে স্যাম অল্টম্যান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি এখনই হতাশ হতে রাজি নন। তারা উন্নত কম্পিউটিং সেবা নিয়ে কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।