যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বেইজিংয়ের বিরল খনিজ রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতার জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘোষণা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটে, বিশ্ব অর্থনীতির দুই শক্তির মধ্যে নতুন বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প শুক্রবার রাতে সতর্ক করে জানান যে, বিদ্যমান শুল্কের ওপরও অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন। এটি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে পারে, অথবা তার আগেও, যদি চীন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়। তিনি আরও জানান যে, যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রপ্তানিতেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “আমি কখনো ভাবিনি বিষয়টি এ পর্যায়ে আসবে, কিন্তু হয়তো সময় এসে গেছে। শেষ পর্যন্ত, যদিও এটি কিছুটা কষ্টদায়ক হবে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি ভালো ফল বয়ে আনবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য পাল্টা ব্যবস্থাগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই ঘোষণার পর ট্রাম্পের ইঙ্গিত, আগামী সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল হতে পারে। তিনি বলেন, “চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এখন দেখা করার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখা যাচ্ছে না।”
মোটের ওপর, মাত্র কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক ‘অসাধারণ’ হিসেবে অভিহিত হলেও, নতুন শুল্কের হুমকি সম্পর্ককে আবার উত্তপ্ত করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বসন্তে ট্রাম্প শুল্ক বৃদ্ধি করে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন, পাল্টা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।