জুমবাংলা ডেস্ক : চীনা পর্যটন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশে চীনের দূতাবাস, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল অ্যাজেন্সিস অব বাংলাদেশ (আটাব) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রতে (টিএসসি) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে দুই দেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন সম্ভাবনা উদযাপনের পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চীনের দূতাবাসের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা লি শাওপেং এবং আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনফুশিয়াস ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড. ইয়াং হুই।
উৎসবের অংশ হিসেবে চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অনবদ্য রূপ তুলে ধরা হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে। প্রদর্শনীতে বেইজিং, গুয়াংডং ও ইউনান প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন আকর্ষণ উপস্থাপিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের চীনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, শৈল্পিক ঐতিহ্য ও আধুনিক পর্যটন অবকাঠামোর সঙ্গে পরিচিত করে তোলে।
আটাব সভাপতি তার বক্তব্যে চীনের পর্যটন খাতে উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ-চীন পর্যটন সহযোগিতা প্রসারে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চীন পর্যটন, অবকাঠামো ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান সরাসরি বিমান সংযোগ- বিশেষত বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ও চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে গুয়াংজু, কুনমিং, বেইজিং ও ক্যান্টনগামী ফ্লাইট- দুই দেশের পর্যটন ও বাণিজ্যিক ভ্রমণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, পর্যটন অংশীদারিত্ব, ভিসা সহজীকরণ ও যৌথ উদ্যোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। আটাব চীনের পর্যটন সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ভ্রমণকে আরও সহজ, আকর্ষণীয় ও অর্থবহ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই আয়োজন ছিল বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল নিদর্শন, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আটাবের সম্মানিত সদস্যরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।