বাংলাদেশে করোনার বিস্তার রোধের সুযোগ এখনো আছে, মন্তব্য চীনা বিশেষজ্ঞ।
প্রচর পরিমাণে পরীক্ষা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে পৃথক করার মধ্য দিয়ে মহামারি করোনা প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানান ড. জ্যাং ওয়েহং।
তিনি বলেন, সন্দেহভাজন সব ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা ছাড়া এই রোগ কোনো সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে। তখন আর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
চীনা এই বিশেষজ্ঞ বলেন, পরীক্ষার পর এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের যেন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তবে যখন রোগীর পরীক্ষা করা হবে তখন খেয়াল রাখতে হবে যে, গোটা হাসপাতাল যেন তার দ্বারা সংক্রমিত না হয়।
ওই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন যে, মৃত্যুর হারও নির্ভর করবে করোনা পরীক্ষার ওপর। যদি ব্যাপক হারে পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায় তাহলে মৃত্যুর হারও হবে কম।
তিনি বলেন, পলিমারি চেইন রিঅ্যাকশন (পিপিই) দিয়ে করোনার পরীক্ষা অ্যান্টিবডির মাধ্যমে পরীক্ষার তুলনায় অনেক বিশ্বস্ত। যদি নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকে তাহলে অনেক আক্রান্ত ব্যক্তিই হয়তো অগোচরে তার লোকালয়ে এ ভাইরাস ছড়িয় বেড়াবে।
এই চিকিৎসক হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবার রাখার কথা বলেন। তার মতে, এ রোগে ২০ ভাগ ব্যক্তিকে অক্সিজেন দিতে হয়।
তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া ওষুধে করোনা সারে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হয়তো এ ওষুধ কিছুটা ব্যথার উপশম ঘটাতে পারে কিন্তু ভাইরাসের কাজ থামাতে পারবে না।
গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে ড. জ্যাং ওয়েহং এ মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।