নির্বাচনের আগে শুল্ক বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সে পথে হাঁটছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি করার ক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের পণ্য যদি আমেরিকার বাজারে ঢুকতে চায় তাহলে 10% বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে।
কানাডা এবং মেক্সিকোর ক্ষেত্রে হয়তো ভবিষ্যতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে। বাংলাদেশের পণ্যের ক্ষেত্রে কোন শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনা নেই বিধায় আমাদের পণ্যের চাহিদা ও অর্ডার বাড়তে পারে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা আগের থেকেও বৃদ্ধি পাবে।
সাধারণত বাংলাদেশ ৮০০ কোটি ডলারের পোষাক রপ্তানি করে থাকে। মার্কিন ব্যবসায়ীরা তখন চীনকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ থেকে বেশি পণ্য আমদানি করবে। তবে বাংলাদেশকে সে সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে প্রতিযোগিতা করেই ধরে রাখতে হবে অবস্থান। এক্ষেত্রে সামনে দাঁড়াবে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ। সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
মোহাম্মদ হাতেম বললেন, আমাদের যতগুলো প্রতিযোগী-প্রতিদ্বন্দী দেশ রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের চেয়ে কিন্তু আমরা একটা বড় ধরনের ডিসঅ্যাডভান্টেজ সিচুয়েশনে রয়েছি। যেমন গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকায় রফতানিতে সময় বেশি লাগে।বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যে টালমাটাল অবস্থায় দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। কমে যেতে পারে পণ্যের চাহিদা।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চীনের রফতানির শতকরা ৮০ শতাংশ হলো হলো নন কটন। ২০ শতাংশ হলো কটন পণ্য। আমাদের প্রায় পুরোটাই তো কটন। সুতরাং সেখানে চীনের সাথে আমাদের যেসব পণ্যের ওভারল্যাপ হবে, কেবলমাত্র সেখানেই কিছুটা হয়তো অতিরিক্ত সুবিধা পাবো। যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের ওপর উচ্চ মূল্যস্ফীতির যে চাপটা পড়বে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এটার যে প্রভাব সেটি কিন্তু নেতিবাচক।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গড়ে আড়াইশ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। আর চীন থেকে বছরে গড়ে আমদানির পরিমাণ দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।