Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ‘চীনের নতুন চেহারা দেখা গেল লাদাখে সীমান্তে’
আন্তর্জাতিক

‘চীনের নতুন চেহারা দেখা গেল লাদাখে সীমান্তে’

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJuly 10, 2020Updated:July 10, 20205 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ঘটে যাওয়া লাদাখের গলওয়ান উপত্যাকায় ভারত-চীন উত্তেজনা চরমে পৌঁছে ছিল। এখনো পুরোপুরি ভাবে শান্ত হয়নি লাদাখের গলওয়ান উপত্যাকা। গত ১৫ জুন মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয় ভারতের ২০ জন সেনা সদস্য। এতে যুদ্ধপরিস্থিতির অবতারণা হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই পরমাণু শক্তিশালী দেশ মোতায়েন করে যুদ্ধবিমান ও হাজার হাজার সেনা সদস্য। অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় চীন।  এসব বিষয় পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘আনন্দবাজার’ এর মুখোমুখি হন ভারতের ভূতপূর্ব পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও।

তাঁর আলাপচারিতা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই নানা ঘটনা ঘটার পর ১৫ জুনের রক্তপাত। আপনি যাকে ‘ওয়াটারশেড মোমেন্ট’ বলেছেন। যদি একটু ব্যাখ্যা করেন।

নিরুপমা রাও: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার লাদাখ সেক্টরের কিছু পকেটে মে মাসের গোড়া থেকেই অশনিসঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছিল। বাষট্টির সংঘাতের পর থেকে গলওয়ান উপত্যকায় কোনও অশান্তির ঘটনার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু ২০২০ সালের ১৫ জুন যা ঘটল, তা এক সঙ্গে অনেক কিছু বদলে দিল। প্রথমত, গত সাড়ে চার দশকে চীনের সঙ্গে ওই এলাকায় আমাদের সেনা কখনও কোনও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েনি। সেই সময়কালের অবসান ঘটল। দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক ওই ঘটনা চীনের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গুরুতর ছাপ ফেলল। আমার এখন চীনের যে শত্রুভাবাপন্ন এবং হিংস্র আগ্রাসী মুখ দেখতে পাচ্ছি, তা গত তিন দশকে তাদের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক সহযোগিতার ছবিটার তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন।

প্র: চীনের সঙ্গে কি আগের মতো চলা সম্ভব হবে?

উ: এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় ধাক্কা দিয়েছে ওই ঘটনা। কিন্তু এক রাতের মধ্যে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়া যায় না। আমাদের চীন-নীতির অবশ্যই পুর্নবিন্যাস প্রয়োজন। চীনের এই আগ্রাসন, সীমান্ত বিবাদ নিয়ে অনড় মানসিকতা, ভারত-বিরোধী নীতির মুখে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা কমানোর ফলাফল বিচার বিবেচনা করে দেখতে হবে; তার ফলে অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিজগতে কতটা দাম দিতে হবে, সেটাও মেপে দেখতে হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যে উত্তাপ তৈরি হয়েছে, তাকে কমানোর জন্য সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ বজায় রাখাটা জরুরি।

পণ্যের ক্ষেত্রে চীন আমাদের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ফলে আমরা যদি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার রদবদল করি, তা এমন ভাবে ভেবেচিন্তে করতে হবে যাতে আমাদের মুখ্য উৎপাদন শিল্পের সরবরাহে যেন কোনও সমস্যা না হয়। অন্যান্য দেশ থেকেও যেন জোগানের ব্যবস্থা থাকে। সে ক্ষেত্রেই চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যাবে। ভারতের পরিকাঠামো শিল্পে একশোরও বেশি চীনা সংস্থা জড়িত। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের স্টার্ট-আপগুলিতে চীনের বিনিয়োগ অব্যাহত। এছাড়া বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল টাটা, ইনফোসিস, টিসিএস-এর মতো ভারতীয় সংস্থাগুলি চীনে ব্যবসা করছে। ফলে বিকল্প পথগুলোকে দ্রুত সাজাতে হবে, যাতে আমাদের আর্থিক স্বার্থকে কেউ নিশানা করতে না পারে।

প্র: চীনের এই পদক্ষেপের অনেক কারণ উঠে আসছে। আপনার কী মনে হয়?

উ: আমার ধারণা এক নয়, অনেকগুলো বিষয় এখানে রয়েছে। চীন এমন একটি দেশ, যারা সীমান্তের দাবি এবং ভূখণ্ডের অধিকার নিয়ে ক্রমশ কট্টর অবস্থান নিচ্ছে। পূর্ব এবং দক্ষিণ চীন সাগরে আমরা এর প্রকাশ দেখেছি। আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রে সীমান্তের বেশ কয়েকটি পকেটে গত এক-দু’বছরে অনুপ্রবেশ ওরা বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে আমাদের দিকে আইনসম্মত ভাবে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে চীনের বলার তো কিছু নেই। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের ব্যবহার সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। গোটা অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য চীন সরকারের নীতি হল আগ্রাসী পদক্ষেপ করা। সমস্ত দেশেরই এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।

প্র: চীন প্রসিদ্ধ তার ‘টু স্টেপ ফরওয়ার্ড ওয়ান স্টেপ ব্যাক’ নীতির জন্য। জমি না খুইয়ে কীভাবে ভারতের পক্ষে সংকটমোচন সম্ভব? ভারতের কাছে কি দরকষাকষি করার মতো কোনও তাস রয়েছে?

উ: তাস থাকলেও সেটা প্রকাশ্যে টেবিলের ওপর ফেলা তো ঠিক নয়। কোনও সরকারই সেটা করে না। তবে ধরে নেওয়া যায় যে সব সরকারই দেশের স্বার্থের দিকে নজর রাখবে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকার এই বিষয়ে মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে সচেতন থাকে। খুব সহজে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এটা আশা করা যায় না। এসব ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আবেগদৃপ্ত বক্তৃতায় উল্টো ফল হতে পারে।

প্র: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার সঙ্গে চীনের এই আচরণের কি কোনও সংযোগ রয়েছে?

উ: আমাদের সরকার যখন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, তখন তার কিছু অংশ নিয়ে চীন প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এটা তাদের একটি বিরোধিতার ক্ষেত্র। তবে ২০১৯ সালের অগস্টের সেই ঘোষিত সিদ্ধান্তের কারণেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই পরিস্থিতি তৈরি হল, এভাবে দেখাটা ঠিক নয়।

প্র: গলওয়ান সীমান্তের পাশাপাশি হঠাৎই নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে। কীভাবে দেখছেন?

উ: ঐতিহাসিকভাবেই নেপালের সঙ্গে আমাদের খোলা সীমান্ত। উত্তরাখণ্ড-নেপাল সীমান্তে কালাপানি এলাকা নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর পূর্ব ইতিহাস রয়েছে— স্বাধীনতার আগেই তার সূত্রপাত। এই এলাকায় ভারত এবং নেপাল, দু’দেশের সীমান্ত সম্পর্কে মূল্যায়ন এবং ধারণা দু’রকম। বিগত কয়েক দশকে ভারত এবং নেপালের কূটনীতিকদের মধ্যে এই নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে।

ভারত-নেপাল সীমান্তের বেশির ভাগ সেক্টর নিয়েই দু’দেশের কূটনৈতিক স্তরে ঐকমত্য রয়েছে। কালাপানি নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর স্থির হয়েছিল, টেকনিক্যাল গ্রুপ সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর দু’দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে এবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু সম্প্রতি নেপাল সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত এই বিতর্ককে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। মিডিয়া রিপোর্টে এটাও দেখছি যে নেপালি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ভারতবিরোধী জাতীয়তাবাদী বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক এই ঘটনাবলি নিয়ে ভারত এবং নেপালের উচিত শিগগিরই রাজনৈতিক স্তরে বিষয়টিকে নিয়ে যাওয়া। যাতে দু’পক্ষের সন্তোষজনক সমাধান পাওয়া যায়। প্রশ্নটাকে বিপজ্জনক ঢাল অবধি গড়াতে দিলে ভুল হবে। চীন বিরাট শক্তিধর হয়ে উঠেছে এবং নেপালের ভিতরেও তার প্রভাব বাড়িয়ে তুলেছে। এটা অবশ্যই একটা নতুন দিক যা বর্তমান সমস্যাকে জটিল করেছে। ভারত-নেপাল সম্পর্কে ইতিবাচক ভারসাম্য অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। আমার মতে, বৃহত্তর দেশ হিসাবে ভারতের উচিত তার ভ্রাতৃসম প্রতিবেশী সম্পর্কে পরিণত, সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা, দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের দিকটিকে বজায় রাখা। দু’পক্ষেরই উচিত পরস্পরের দিকে বাক্যবাণ না দেগে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজা।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আন্তর্জাতিক গেল চীনের চেহারা দেখা নতুন লাদাখে সীমান্তে
Related Posts
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবর

December 25, 2025
ভারতে বাসে আগুন

ভারতে বাসে আগুন, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু

December 25, 2025

শুভ বড়দিন আজ

December 25, 2025
Latest News
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবর

ভারতে বাসে আগুন

ভারতে বাসে আগুন, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু

শুভ বড়দিন আজ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী -সৌদি আরব

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে সুখবর দিল সৌদি আরব

লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

আমিরাতে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

কানাডা

বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করল কানাডা

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

রহস্যময় জায়গা, যেখানে গেলে ফেরে না কেউ

রহস্যময় হ্রদ

এই হ্রদের কাছে গেলেই প্রাণ যাবে আপনার, বিজ্ঞানীরাও ভয় পান যেতে

সবচেয়ে বড় কলা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কলা এটি, ওজন ৩ কেজি

শিখদের বিক্ষোভ আজ

হাদি হত্যার প্রতিবাদে সাত দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখদের বিক্ষোভ আজ

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.