চীনের গবেষকরা কোয়াড্রোটারের একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। কোয়াড্রোটার হচ্ছে এমন এক ড্রোন যার চারটি রোটার বা ফ্লায়িং উইং থাকে। এ ড্রোনের বিশেষ সক্ষমতা হলো এটি যেমন বাতাস উড়তে পারে তেমনি একই সাথে পানির নিচে সাঁতারও কাটতে পারে।
চীনের বিজ্ঞানীরা এ কোয়াড্রোটার ডিভাইসকে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করেছেন। গবেষকরা ড্রোনটির নাম দিয়েছেন TJ-FlyingFish। আপনি এটিকে উভচর টাইপের কোয়াড্রোটার বলতে পারেন। যেহেতু এটি একই সাথে পানিতে সাঁতার কাটতে পারে এবং আকাশে উড়তে পারে।
কোয়াড্রোটারের ওজন 1.63 কিলোগ্রাম। তবে এটির হুইলবেস ৩৮০ মিলিমিটার। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন জল ও বাতাসের বিভিন্ন ফ্লুইড প্রপার্টিস এর সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
এ বিশেষ ড্রোনটি ছয় মিনিটের জন্য বাতাসে উড়তে পারে এবং একটানা ৪০ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে সাঁতার কাটতে পারে। এ ডিভাইসের মধ্যে ডুয়েল স্পিড প্রপালশন ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে।
অপারেটিং রেঞ্জ যেন প্রয়োজন অনুযায়ী সুইচ করা হয় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পানির নিচের ড্রোনটি যেন নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটতে পারে সেজন্য থ্রাস্টার কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ কোয়াড্রোটারটিকে ক্রস-ডোমেন পজিশনিং এবং নেভিগেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সজ্জিত করা হয়েছে। জিপিএস, জড়তা পরিমাপ ইউনিট, ডেপথমিটার ইত্যাদি বিষয়ের পরিমাপ করার সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
TJ-FlyingFish যৌথভাবে টংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাংহাই রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেলিজেন্ট অটোনোমাস সিস্টেম এবং হংকংয়ের চাইনিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের একটি দল দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে রয়েছে সম্পদ অনুসন্ধান ও উদ্ধার মিশন এবং প্রকৌশল পরিদর্শন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।