আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে মোবাইল ফোন উৎপাদন বন্ধ করল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড। বুধবার সংস্থার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার। এদিকে সোনির তরফেও জানানো হয়েছে, তারা তাদের বেইজিং স্মার্টফোন কারখানা বন্ধ করছে এবং শুধুমাত্র থাইল্যান্ডে স্মার্টফোন উৎপাদন করবে।
অন্যদিকে স্যামসাং ভারত ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলিতে যেখানে উৎপাদন খরচ তুলনায় কম, সেখানে ইতিমধ্যেই তাদের উৎপাদন ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো সম্প্রসারিত করেছে।
স্যামসাং এর স্মার্টফোন উৎপাদন বন্ধ করার কারণ হলো সেখানে স্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় তারা পেরে উঠছে না।
গত বছরের শেষের দিকে স্যামসাং চীনে তাদের একটি কারখানার উৎপাদন বন্ধ করার পর আগস্টে হুইঝোর কারখানায় উৎপাদন কমিয়ে দেয়। চীনে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে আর্থিক বৃদ্ধিতে শ্লথ গতির কারণে, স্যামসাং এর মতো অনেক সংস্থাই চীন থেকে তাদের উৎপাদন অন্যত্র সরাচ্ছে। তবে অ্যাপল চীনে তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাবে।
ছয় বছর আগে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি চীনের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে স্যামসাং এর ১৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল, যা চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে নেমে গিয়েছে ১ শতাংশে। গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট এর মতে, হুয়াওয়ে, শাওমির মতো চীনা সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে স্যামসাং।
কেপ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিওরিটিজ এর বিশ্লেষক পার্ক সাং-সুন বলেছেন, ‘চীনে ক্রেতারা কমদামি স্মার্টফোন স্থানীয় ব্র্যান্ডের কেনে। আর দামি ফোন কেনার ব্যাপারে তাদের পছন্দ অ্যাপল অথবা হুয়াওয়ে। ফলে, চীনের বাজারে স্যামসাং এর অংশীদারিত্ব বাড়ার সম্ভাবনা ও আশা খুবই কম।’
বিশ্বের এক নম্বর স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থা স্যামসাং জানিয়েছে, দক্ষতা বাড়াতেই তারা চীনে উৎপাদন বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা চীনে বিক্রি অব্যাহত রাখবে।
এক বিবৃতিতে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘চীনের কারখানায় যে সমস্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে, তা অন্যান্য দেশে থাকা কারখানাগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হবে, তা নির্ভর করবে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন কৌশলের উপর।’
স্যামসাং ১৯৯২ সালে হুইঝোর কারখানাটি নির্মাণ করেছিল। তবে ওই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ও কর্মীসংখ্যার বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই কারখানায় ছয় হাজার কর্মী ছিলেন এবং মোট ৬ কোটি ৩০ লক্ষ ইউনিট ফোন উৎপাদিত হয়েছিল। ওই বছরে বিশ্বজুড়ে স্যামসাং মোট ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ হ্যান্ডসেট উৎপাদন করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।