অ্যাপল আইফোন ১৭ এয়ার মডেল চালু করতে যাচ্ছে শুধুমাত্র eSIM সমর্থন নিয়ে। এটি চীনের টেলিকম বাজারে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দেশটির তিন প্রধান টেলিকম অপারেটর এখন eSIM সার্ভিস চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিবর্তনটি ঘটতে পারে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে।
চীনে eSIM ব্যবহারে সরকারের কঠোর নীতির কারণে এই বিলম্ব হচ্ছে। দেশটির ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’ এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম eSIM গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে আসছিল। তবে Apple-এর চাপে এখন নীতিগত পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
চীনে eSIM বিলম্বের কারণ
চীনা সরকার eSIM-কে নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে দেখে আসছিল। দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ নীতি ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’ বাইপাস করতে পারে eSIM টেকনোলজি। এছাড়াও Alipay এবং WeChat Pay-এর মতো পেমেন্ট সিস্টেম ফোন নম্বরের সাথে সরাসরি যুক্ত।
হংকং বাসিন্দাদের জন্য আলাদা eSIM নীতি রয়েছে চীনে। মূল ভূখন্ডের বাসিন্দাদের জন্য eSIM সেবা সীমিত রাখা হয়েছিল। Reuters এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি অনুমোদন ছাড়া eSIM ব্যবহার করা চীনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
Apple কীভাবে পরিবর্তন আনছে
Apple স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করে eSIM নিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। South China Morning Post (SCMP) এর তথ্য অনুযায়ী, চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম এবং চায়না টেলিকম eSIM সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত।
চায়না ইউনিকম ইতিমধ্যেই স্মার্টফোনে eSIM পরীক্ষামূলক চালু করেছে। Bloomberg এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইফোন ১৭ এয়ার লঞ্চের সাথে সাথে eSIM সার্ভিস চালু হতে পারে।
eSIM এর ভবিষ্যৎ কী
চীনে eSIM চালু হলে অন্যান্য স্মার্টফোন ব্র্যান্ডও এই টেকনোলজি গ্রহণ করবে। এটি চীনের টেলিকম খাতে নতুন যুগের সূচনা করবে। ব্যবহারকারীদের জন্য সিম কার্ড পরিবর্তনের ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে।
তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করছে AFP। স্থানীয়ভাবে বিক্রি হওয়া ফোনে শুধুমাত্র স্থানীয় eSIM ব্যবহারের বাধ্যবামনী থাকতে পারে। Apple-কে হয়তো একটি আলাদা সফটওয়্যার প্যাচ প্রকাশ করতে হবে চীনা বাজারের জন্য।
ব্যবহারকারীদের জন্য কী অর্থ দাঁড়ায়
eSIM চালু হলে ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধা বাড়বে। তারা সহজেই বিভিন্ন নেটওয়ার্কে সুইচ করতে পারবেন। তবে দাম কেমন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন প্রাথমিকভাবে eSIM সেবার দাম বেশি থাকতে পারে।
**চীনে eSIM** প্রযুক্তি গ্রহণ করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। Apple-এর এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত **চীনের টেলিকম** খাতকে স্থায়ীভাবে পরিবর্তন করে দেবে।
জেনে রাখুন-
Q1: চীনে eSIM কি আইনি?
হ্যাঁ, কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে। IoT ডিভাইস এবং স্মার্টওয়াচে eSIM ইতিমধ্যেই ব্যবহার করা হয়।
Q2: eSIM ব্যবহারের সুবিধা কী?
eSIM ব্যবহারে সিম কার্ড পরিবর্তনের ঝামেলা নেই। একই ডিভাইসে একাধিক নম্বর ব্যবহার করা যায় সহজে।
Q3: আইফোন ১৭ এয়ার কখন চীনে আসবে?
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আইফোন ১৭ এয়ার চীনে লঞ্চ হওয়ার কথা রয়েছে। eSIM ইস্যু সমাধান হলে এটি সম্ভব হবে।
Q4: চীনে eSIM নিষিদ্ধ কেন ছিল?
নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে চীনে eSIM নিষিদ্ধ ছিল। সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
Q5: অন্য কোন দেশে eSIM নিষিদ্ধ?
বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলার মতো কিছু দেশে eSIM ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বেশিরভাগ দেশেই eSIM ব্যবহার করা যায় স্বাধীনভাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।