জাপান ও চীনের মধ্যকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক আকাশপথে নজিরবিহীন অস্থিরতা তৈরি করেছে। মাত্র তিন দিনে জাপানগামী প্রায় পাঁচ লাখ বিমান টিকিট বাতিল হয়েছে, যা করোনা–পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে মনে করছেন বিমান পরিবহনের বিশেষজ্ঞরা।

চীনের বেইজিং সম্প্রতি জাপানে ভ্রমণে আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করে। এর পরপরই সিচুয়ান এয়ারলাইনস, স্প্রিং এয়ারসহ একাধিক চীনা এয়ারলাইন জাপান রুট সাময়িক স্থগিত করে দেয়। ফলে ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ যাত্রীর বুকিং বাতিল হয়।
যদিও এয়ারলাইনগুলো একে ‘ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত’ বলে দাবি করেছে, বিশ্লেষকদের মতে এর পেছনে মূল কারণ দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন—বিশেষ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির তাইওয়ান ইস্যুতে সাম্প্রতিক কড়া মন্তব্য।
এটিকে ‘ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
জাপানে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে চীনের নাগরিকরা। তাই টিকিট বাতিলের প্রভাব পড়েছে হোটেল, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ ও স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়। গিনজা, শিনজুকুর মতো জনপ্রিয় এলাকায় ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় শেয়ারবাজারেও পতন দেখা দিয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদে খুচরা, হসপিটালিটি ও সেবা খাতে কোটি কোটি ইয়েন ক্ষতি হতে পারে।
বর্ধমান সংকটে ঝুঁকিতে পড়েছেন বিদেশমুখী যাত্রীরাও। ডিসেম্বরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করা শিক্ষার্থীরা বেইজিং ট্রানজিট রুট বাতিল বা পরিবর্তনের ঝুঁকি সম্মুখীন হয়েছেন। বিকল্প রুট খুঁজতে গিয়ে তাদের সময়, ব্যয় ও ঝুঁকি সবই বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে—জাপানগামী ফ্লাইট আরও কমে যেতে পারে, ব্যাহত হবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণও। এমনকি দুই দেশের বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



