আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটা সময় চীন দরিদ্রতার সমস্যায় জর্জরিত ছিল। আজ শক্তিশালী চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তাদের বর্তমান জিডিপি ১২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। দারিদ্রতার কবল থেকে বেরিয়ে কীভাবে সুপার পাওয়ার হয়ে উঠল চীন আজ তা আলোচনা করা হবে।
বিশ্ব ব্যাংক জানায় যে, ১৯৮১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দেশের ৮৫ কোটি জনগণকে দারিদ্র সীমার নিচে থেকে তুলে এনেছে চীনা সরকার। ২০১২ সালের পর থেকে চীন দারিদ্রের সমস্যাটি খুব ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছে।
চীনের হাতে তেমন প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও তারা বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হচ্ছে। চীনের কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে শিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।
১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১০% হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। চীনে আমেরিকার বড় বিনিয়োগ আসে ওই সময়ে। বড় বড় টেক ব্র্যান্ডের হাব হিসেবে চীনের উপর নির্ভরতা বাড়তে থাকে। উদাহরণ হিসেবে অ্যাপল এবং স্যামসাং এর কথা বলা যেতে পারে।
দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে চীন বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এজন্য কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিদেশি বিনোদকারীদের জন্য আস্থাভাজন দেশ হিসেবে চীনের সুনাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তুলাশিল্পে ভালো করার কারণে বস্ত্র উৎপাদন এবং রপ্তানিতে চীন এগিয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে নিজেদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সেক্টরকে উন্নত করেছে চীন। ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হওয়ার সুবাদে তাদের পণ্যের বাজার আরো বড় হতে থাকে।
সৌর এবং বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি নির্মাণে চীন দক্ষতা দেখিয়েছে। বেল্ট এন্ড রোড ইনিসিয়েটিভ প্রজেক্টের মাধ্যমে সারা বিশ্বে চীনের অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার আরও সহজ হয়ে উঠবে।
দেশে যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ থাকার কারণে শিল্প কারখানায় লোডশেডিং হয় না। ফলে তারা কম সময়ে অনেক পণ্য উৎপাদন করতে পারে। অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ, উড়াল সেতু এবং রেলওয়ে নির্মাণে চীন অবিশ্বাস্য দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।