সাম্প্রতিক সময়ে শুল্কের হুমকির মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের শর্তের কাছে মাথানত করছে না ভারত। বরং চীন-রাশিয়ার সঙ্গে মোদি সরকারের ঘনিষ্ঠতা নতুন এক মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। এতেই যেন ভারতের ওপর আরও ক্ষেপে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক তো করেই ফেললেন কঠিন এক ভবিষ্যদ্বাণী; বলেছেন, রাশিয়ার কাছ জ্বালানি কেনা বন্ধ করে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই নাকি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে ভারত।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য দিয়েছে ব্লুমবার্গ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটিকে লুটনিক বলেন, আমি মনে করি, এক বা দুই মাসের মধ্যে, ভারত আলোচনার টেবিলে আসবে; তারা বলবে আমরা ক্ষমা চাই। এরপর তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তি করারও চেষ্টা করবে।
এরপরই ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে তাদের ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
এর আগে, শুক্রবার সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে আমরা গভীর অন্ধকার চীনের কাছে ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি। আমি তিন দেশেরই সাফল্য কামনা করছি।
তার এ পোস্টের পরই ভারতকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী। ভারতকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এটা শুধুই ভারতের আস্ফালন, কারণ সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্টের সঙ্গে লড়াই করাটা ভালো লাগা দেয়। কিন্তু দিন শেষে, নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই তারা আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করবে।
মার্কিন এ মন্ত্রী আরও বলেন, ভারত তাদের বাজার খুলবে না, রাশিয়ার তেল কেনা থামাবে না, আর ব্রিকস থেকেও সরবে না। যদি রাশিয়া আর চীনের সঙ্গে জোট বাঁধতে চায় ভারত, তো তারা করুক। কিন্তু, যদি এটি না পারেন তাহলে ডলারকে সমর্থন করুন, যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করুন, আপনার সবচেয়ে বড় গ্রাহককে সমর্থন করুন। নয়তো ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে প্রস্তুত হন। তারপর দেখি এই লড়াইটা কতদিন চলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।