আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চুমু দেওয়ার সময় স্ত্রীর জিভের সঙ্গে নিজের জিভ আটকে যায়। কিছুতেই তা ছাড়াতে পারেননি। জোর করে ছাড়াতে গেলে স্ত্রীর জিভের একটা অংশ কেটে যায়। এমনটাই দাবি ভারতের গুজরাটের জুহাপুরের বাসিন্দা আয়ুব মানসুরি (৪৬) নামে এক ব্যক্তির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জিভ কাটার ঘটনার পরই ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ আসে। থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আয়ুবকে। পরে আদালতে তোলা হলে আয়ুবকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরে আয়ুব মানসুরি পুলিশকে জানান, স্ত্রীকে গভীরভাবে চুমু দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তার নিজের জিভের সঙ্গে স্ত্রীর জিভ আটকে যায়। কিছুতেই তা ছাড়াতে পারেননি। জোর করে ছাড়াতে গেলে স্ত্রীর জিভের একটা অংশ কেটে যায়। এমনকি তিনি নাকি রক্ত দেখে ভয় পেয়ে বাড়ি থেকে ছুটে বেরিয়ে যান বলেও দাবি করেন আয়ুব।
এদিকে তার দেওয়া এই বক্তব্য পুলিশের খুব একটা বিশ্বসাযোগ্য মনে হয়নি। কারণ আয়ুবের এটি তৃতীয় বিয়ে, আর তার স্ত্রীর এটি দ্বিতীয়। আয়ুবের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী পারভিনকে পুড়িয়ে মারা অভিযোগ রয়েছে। এমনকি আয়ুবের মারধরের ফলে দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ছেড়ে পালিয়ে যান।
আয়ুবের বর্তমান শ্বশুরবাড়ি সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে এই স্ত্রীকেও মারধর করত আয়ুব। পুলিশের ধারণা আয়ুব স্ত্রীর জিভ ইচ্ছে করে কেটেছে। এখন নানা গল্প বানাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।