জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছেলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তুলে আকবর আলী ধনী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগেও চেয়ারম্যানের ওই বাড়িতে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। শনিবার সকালে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনী উত্তর জাওরানী গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া সে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
আর অভিযুক্ত মহির উদ্দিন ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, ছেলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তুলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীকে নিজ বাড়ি থেকে চৌকিদার ও চেয়ারম্যান তার বাসায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর চেয়ারম্যান ও চৌকিদার ওই মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়ারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলে মুক্তিযোদ্ধার বাঁধন খুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনীকে চেয়ারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে লোকজন ভিড় করলে তার হাতের বাধন খুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ধনী বলেন, চেয়ারম্যান ও চৌকিদার জোরপূর্বক আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখে। আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে থাকি বলে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন তিনি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে কোনো মারধর করা হয়নি। তার ছেলে গরু চোর সে জন্য তাকে ডাকা হয়েছিল। আপনি পরিষদ বাদ দিয়ে নিজ বাড়িতে বিচার সালিস করে কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোনো সদুত্তোর মেলেনি। এর আগেও আপনার ওই বাসায় এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টা করেন এমন প্রশ্ন করা হলে তারও কোনো উত্তর দেননি তিনি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৬ মে নুরুজ্জামান নামে এক যুবককে চেয়ারম্যানের ওই বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টা করেন চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর ও ভাই মনসুর হেলাল। আর সেই ঘটনার মমলায় বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। এদিকে গত বছর ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন গ্রাম পুলিশ মাদকদ্রব্য নিয়ে পুলিশের নিকট আটক হয়। তাদের মামলা চলমান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।