কিছুদিন আগেই যখন গরমে ঘামে চুলে তৈলাক্ত ভাব চলে আসছিল, ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই চুল আস্তে আস্তে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। হেমন্ত-শীতে ত্বকের যেমন শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি মাথার ত্বক ও চুলেরও শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। তাই ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও চাই আলাদা যত্ন।
চুলে রুক্ষতা দেখা দিলে অনেকেই মনে করে থাকেন, এটি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা। তবে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. পুরির মতামত অনুযায়ী, চুলের রুক্ষতা কখনোই স্বাস্থ্যঘটিত কোনো সমস্যা নয়। বেশির ভাগ সময়ই আবহাওয়ার তারতম্যে অতিরিক্ত আর্দ্রতা বা শুষ্কতা, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট কিংবা তাপের ব্যবহারের কারণে ঘটে থাকে। চুলের রুক্ষতার পুরোপুরিভাবে সমাধান করা সম্ভব না হলেও কিছু সাধারণ টিপস অনুসরণ করলে তা অনেকখানি কমে আসবে।
প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার
বাইরে থেকে রুক্ষতা নিয়ন্ত্রণের জন্য যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি না জোগালে তার সবটাই বৃথা হয়ে যাবে। প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ফলিকলগুলোকে পুষ্টি জোগায়। ডিম, মুরগির মাংস, মাছ (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ), পনির, টক দই ইত্যাদি খাবারে প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি থাকে। বিভিন্ন ধরনের ডালেও এই পুষ্টি উপাদানগুলো পাওয়া যায়। তবে উদ্ভিজ্জ খাবারের তুলনায় প্রাণিজ খাবারেই এই পুষ্টিগুলো বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
গোসলের সময় ঈষদুষ্ণ পানি ও মাইক্রোফাইবার টাওয়েল ব্যবহার করা উচিত
বাইরে হালকা ঠান্ডা পড়লেই অনেকে গরম পানি দিয়ে গোসল করা শুরু করেন। চুল ধোয়ার সময়ও একই তাপমাত্রার গরম পানি ব্যবহার করেন। গরম পানি চুলকে রুক্ষ করে দেয়। চুলে গরম পানির পরিবর্তে ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করা উচিত। চুল ধোয়া হয়ে গেলে একবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো। এতে চুল উজ্জ্বল দেখাবে।
চুলে তেল দেওয়া
অনেকেই চুলে তেল দেওয়া এড়িয়ে চলেন। চুলে তেল দিয়ে বাইরে যাওয়ার ঝক্কি অনেকেই নিতে চান না। তবে চুলের বাহ্যিক যত্নে তেলের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের হাতের কাছেই যেকোনো মুদিদোকান ও সুপার শপে নারকেল তেল, বাদাম তেল ও অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। চুলের রুক্ষতা দূর করতে এগুলোর তুলনা হয় না।
নিয়মিত চুল ট্রিম করা
যেহেতু চুলের নিচের অংশই চুলের সবচেয়ে পুরোনো অংশ, তাই স্প্লিট এন্ডের মতো সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এতে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই প্রতি তিন মাস অন্তর চুলের নিচের অংশ সামান্য ছেঁটে নেওয়া উচিত।
চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে, এমন হেয়ার মাস্কের ব্যবহার
শুষ্ক আবহাওয়ায় চুল খুব দ্রুত তার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেও অনেকেই চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার কথা বেমালুম ভুলে যান। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শুষ্ক আবহাওয়ায় প্রতি এক-দুই সপ্তাহ অন্তর চুলে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।