লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুলের বৃদ্ধি ও মজবুতির জন্য কেরাটিন গুরুত্বপূর্ণ, তবে বায়োটিন এটির কার্যকারিতা বহুগুণ বাড়াতে পারে। ত্বকের পুষ্টি ও নখের সৌন্দর্যেও বায়োটিন অপরিহার্য।
বায়োটিন হলো ভিটামিন বি-৭, যা ‘ভিটামিন এইচ’ নামেও পরিচিত এবং বি-কমপ্লেক্স গ্রুপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। বায়োটিন ত্বক, চুল ও নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এটি পরিপাকে সহায়তা করে এবং স্নায়ুতন্ত্র, লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন খাদ্য থেকেই বায়োটিন পাওয়া যায়।
বায়োটিনের উৎস
কলা : কলা চুলের অকালপক্বতা ও চুল পড়ার সমস্যায় কার্যকর। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় ০.৩ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন রয়েছে, যা চুলের গোড়া মজবুত করে।
ডিম : একটি ডিমে প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে, যা মূলত ডিমের কুসুমে বিদ্যমান। এটি প্রোটিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
বাদাম : বিভিন্ন বাদাম যেমন—আমন্ড, কাঠবাদাম, চিনাবাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োটিন থাকে।
বীজ : বিভিন্ন বীজ যেমন—কুমড়া, শিম, পটোলবীজে প্রচুর বায়োটিন থাকে।
ফুলকপি : ফুলকপি একটি বহুমুখী বায়োটিন উৎস হিসেবে পরিচিত। এটি সহজলভ্য, সুস্বাদু এবং বিভিন্ন রেসিপি ও খাবারের মধ্যে সহজেই ব্যবহৃত হতে পারে।
পালংশাক : প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে প্রায় ৩.৫ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে। এটি চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।
অ্যাভোকাডো : প্রতিটি অ্যাভোকাডোতে দুই থেকে ছয় মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে।
এতে ভিটামিন ই ও সি রয়েছে, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুও বায়োটিন পুষ্টিসমৃদ্ধ। এতে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ রয়েছে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
মাছ : মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস, যা ত্বককে সুস্থ রাখে ও প্রদাহ কমায়।
মাশরুম : ১০০ গ্রাম মাশরুমে প্রায় সাত মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে, যা চুল, ত্বক ও নখের জন্য সহায়ক।
অতিরিক্ত মিষ্টি, ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার গ্রহণ ত্বক ও চুলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই শরীরে পর্যাপ্ত বায়োটিনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুষম খাবার গ্রহণ আবশ্যক।
পরামর্শ দিয়েছেন
ইসরাত জাহান ডরিন
নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েট কনসালট্যান্ট
লাইফ কেয়ার মেডিক্যাল সেন্টার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।