লাইফস্টাইল ডেস্ক : ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা।’ কবির রূপকল্পে উদ্ভাসিত সেই নিকষ কালো চুলের দিন কবেই চলে গিয়েছে। কোমর ছাপানো বাহারি একঢাল হোক বা ঘাড় পর্যন্ত চুল, কালো চুলের ফাঁকে কয়েকটা বাদামি, সবুজ বা সোনালি আঁচড় না থাকলে আধুনিকাদের মন ভরে না। রং বাহারি চুলের পিছনে অঢেল সময় আর টাকা দুটোই জলের মতো বেরিয়ে যায়। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এইসব রং চুলের কতটা ক্ষতি করছে। টিভির বিজ্ঞাপনে যতই প্রাকৃতিক কালারের কথা বলা হোক না কেন বিভিন্ন কেমিকেল দেওয়া হেয়ার কালারে কিন্তু বিপদ লুকিয়ে আছে।
অ্যালার্জির সমস্যা
চুলের রঙে সাধারণত প্যারাফেনালিনডায়ামিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা থেকে মানুষের ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। ত্বকের এই অ্যালার্জিগুলো থেকে চুলকানি হতে পারে। এছাড়া ত্বকে গুটি বা ফুসকুড়িও হতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
চুলের রঙে থাকা পারসালফেট থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। এমনকি যাদের অ্যাজমার সমস্যা নেই তাদেরও হতে পারে সমস্যাটি। কেউ যদি চুলের রঙের কৌটো খুলে রাখেন, নিশ্বাসের মাধ্যমে তা শরীরের ভেতরে ঢুকলেও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চোখে ইনফেকশন
প্রত্যেকটা চুলের রঙের প্যাকেটেই লেখা থাকে ‘আপনার চোখ থেকে দূরে রাখুন।’ এর কারণও রয়েছে। যদি ভুলবশত রং আপনার চোখে লেগে যায় তাহলে চোখে জ্বালাভাব হতে পারে, চোখ লাল হয়ে যেতে পারে এমনকি কনজান্কটিভাইটিসও হতে পারে।
ত্বকের প্রাকৃতিক রং নষ্ট
যদিও বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন, তারপরেও চুলের রং থেকে আপনার ত্বকের রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে অনেকে দাবি করছেন। মানুষের ত্বক তৈরি হয়ে থাকে কেরাটিনাইজড প্রোটিন থেকে। চুলের রং ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই প্রোটিন নষ্ট হয়ে ত্বকের রং পরিবর্তন করে দিতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।