আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সশস্ত্র বিদ্রোহের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে ছিলেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ। ওয়াগনারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ক্রেমলিনকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।
ওইদিন ওয়াগনার বাহিনীকে থামানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল চেচেন যোদ্ধাদের। রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে রুশ সেনাবাহিনীর ‘আখমাত স্পেশাল ফোর্স’। প্রিগোজিনকে মোকাবিলা করতে প্রথমেই তাদের পাঠানো হয়েছিল রোস্তব অন ডন শহরে।
প্রিগোজিন রাশিয়া ছাড়ার আগে দাবি করেন যে, রুশদের নিজেদের মধ্যে রক্তপাত এড়াতেই তিনি বিদ্রোহ শেষ করেছেন।
তবে রাশিয়ার আখমাত ইউনিউটের ডেপুটি কমান্ডার আপ্তি আলাউদ্দিনভ জানান, ঘটনার দিন চেচেনরা একদম ওয়াগনার বাহিনীর একদম কাছাকাছি অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার।
রোসিয়া-ওয়ান টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াগনারের বিদ্রোহের দিনের উত্তেজনাকর মুহূর্তের কথা তুলে ধরেন আলাউদ্দিনভ।
তিনি বলেন, চেচেনরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল যাতে তারা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দেয়।
এদিকে ওয়াগনার বিদ্রোহের পর সোমবার প্রকাশ্যে এসে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে বিদ্রোহী ওয়াগনার সেনাদের তিনটি সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, যেসব সেনা বিদ্রোহ করেছিলেন— তারা চাইলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মূল সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন, পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবেন অথবা বেলারুশে চলে যেতে পারবেন।
কঠোর সমালোচনায় পূর্ণ ওই ভিডিও বার্তায় পুতিন বিদ্রোহের সংগঠকদের ‘বিচারের আওতায়’ আনার শপথের কথা জানিয়েছেন।
তবে তিনি সাধারণ ওয়াগনার যোদ্ধাদের ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, তারা চাইলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারে, বেলারুশ যেতে পারে কিংবা ঘরে ফিরে আসতে পারে।
তিনি সরাসরি ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নাম উল্লেখ করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।