জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে চেতনানাশক মেশানো মিষ্টি খাইয়ে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) চুনারুঘাট থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগীর মা।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট রাতে চেতনানাশক মেশানো মিষ্টি খাইয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করার পর কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানী এলাকার তাউছ মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া ও তার বন্ধু পাইকপাড়া ইউনিয়নের নোয়াবাদ এলাকার ফরহাদ মিয়া। তাদের মধ্যে বিল্লাল মেয়েটির বাবারও বন্ধু।
ভুক্তভোগীর মা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে আসেন বিল্লাল ও ফরহাদ। তারা পূর্বপরিচিত হওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেন। রাত ১০টার দিকে সঙ্গে আনা মিষ্টি খাওয়ান বিল্লাল। এরপর পরিবারের সবাই অচেতন হন। পরদিন ঘুম ভাঙলে তারা সবকিছু এলোমেলো দেখতে পান। ঘুমানোর সময় তাদের ১২ বছর বয়সী মেয়েটি পাশে থাকলেও তাকে পাওয়া যায় পার্শ্ববর্তী কক্ষের খাটের ওপর। তার বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় জেলা সদর হাসপাতালে। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে না পারায় আবারো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
এজাহারে দাবি করা হয়, সেই রাতে খাওয়া মিষ্টির সঙ্গে চেতনানাশক ছিল। তা খাওয়ার পরই তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ ছাড়া তাদের কিশোরী মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। বিল্লাল এলাকার চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে প্রথমে ভয় পেলেও পরে অন্যদের সাহসে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। অভিযুক্তরা আমার সঙ্গে চলাফেরা করলেও তারা এমন সর্বনাশ করবে তা ভাবতেও পারিনি। বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে অচেতন করে কিশোরী মেয়ের সঙ্গে পাশবিক আচরণ করেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।