চোখের জলে বিদায়, চিরনিদ্রায় শায়িত সেই শিক্ষক

জুমবাংলা ডেস্ক : শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর চোখের জলে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইংরেজী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী মসিউর রহমানকে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নিহতের মরদেহ পিরোজপুরের নিজ বাড়ি থেকে নিজ চাকরিস্থল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আনা হলে এক শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রিয় শিক্ষকের অকাল মৃত্যুতে। তাঁর মরদেহ এক নজর দেখার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিড় করেন। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।

এর পর সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মরহুমের নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এ কিউ এম মাহাবুব, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মো. মোরাদ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ড. আবু সালেহ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ সিকদার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিএম আশিকুর রহমান, জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ডীন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
জানাযা শেষে নিহতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে ভিসি, বিভিন্ন বিভাগ প্রধানগণ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা, কর্মচারী সমিতি, শিক্ষার্থী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জেলা উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠন নিহতের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর থেকে গোপালগঞ্জে আসার পথে নাজিরপুরের কবিরাজবাড়ী নামক স্থানে দ্রুতগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের বহনকারী ইজিবাইককেপিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী মশিউর রহমান (৩৪), তার স্ত্রী সিফাত আরা মৌ (২৮) এবং শিশু পুত্র কাজী মন্মযয় (৭) মারাত্মক আহত হন। আহত দুজনকে খুলনা গাজী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত কাজী মশিউর রহমান পিরোজপুর শেখপাড়ার কাজী মুজিবুর রহমানের ছেলে।