আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি মেহেদি হাসান বৈরুতের আশরাফিয়া এলাকার একটি আট তলা ভবনের নিচ তলায় থাকতেন ৷ ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহত মেহেদি কাজ করতে সেখানকারই একটি স্পেনিস সুপার শপে ৷ তার সঙ্গে থাকতেন আরেক বাংলাদেশি সুজন হোসেন ৷ তিনিও ওই এলাকার একটি জুস কারখানার শোরুমে কাজ করেন ৷ বিস্ফোরণের সময় ঘটনা স্থলের কাছাকাছি ছিলেন সুজন।
সুজন বলেন, তাদের বাসা থেকে বিস্ফোরণের স্থল বৈরুত পোর্ট তিন কিলোমিটার দূরে ৷ আমি বাসা থেকে বের হয়ে আমার কর্মস্থলে যাচ্ছিলাম৷ আমার রুমমেট তখন কর্মস্থলে ছিলো ৷ আমি হেঁটেই যাচ্ছিলাম ৷ সন্ধ্যা ছয়টার একটু বেশি হবে ৷ ঠিক তখনই বিস্ফোরণের শব্দ ৷ দূরে ধোঁয়া আর আগুনের শিখা ৷ আমার চারপাশের ভবনের কাঁচ, জানালা সব ভেঙে পড়ছিল ৷ আমি দ্রুত একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেই।
তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণের শব্দ থেমে গেলে শোরুমে যাই ৷ গিয়ে দেখি শোরুমটি ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ৷ যানতে পারি রুমমেট মেহেদির আহত হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ৷ পরে মেহেদি মারা যান ৷
তিনি জান, ওই ভবনে আরো অনেকে ছিলেন ৷ তাদের অধিকাংশ বের হতে পারলেও মেহেদি বের হতে পারেনি ৷ সম্ভবত কাঁচ ভেঙে পড়ায় তার আঘাতে সে মারা যায় ৷ মেহেদির লাশ এখন মাউন্ট লেভেন হসপিটালে আছে ৷ ভয়াবহ বিস্ফোরণের দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছি ৷ আমি বেঁচে আছি, কিন্তু আমার রুমমেট ভাইতো মারা গেল ৷ আমি সেই ভয়াবহ দৃশ্য ভুলতে পারছি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।